ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। এ ঘটনায় কোনো মামলা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভাগীয় তদন্তে ছাত্রলীগ আস্থা রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এমন তথ্য জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা ১০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় কমিটির একজন নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করতে যান সাদ্দাম। পরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে মারধর করার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে গত গতকাল (রোববার) আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। আজ আমরা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলাম। ছাত্রলীগের দাবিগুলো তাদের কাছে আমরা জানিয়েছি।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে যেকোনো সমাধান নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন করেন এডিসি হারুন তার সহযোগীরা। ভুক্তভোগী দুজন হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।
বিজ্ঞাপন
শনিবার রাতে নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় তাদের নির্যাতনের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনার প্রাথমিক মীমাংসা করেন। ইতোমধ্যে এডিসি হারুনকে বদলি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের।
কেআর/জেবি

