মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

আমাকে কেনা এত সহজ নয়: মির্জা ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ফাইল ছবি

চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর্থিক সহযোগিতা নিয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে একটি ব্যাংকের চেকের ছবি। যেটাকে পুরোপুরি মিথ্যা, নোংরামি ও রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন হিসেবে দেখছেন বিএনপি মহাসচিব। 

গত ২৪ আগস্ট থেকে চিকিৎসার জন্য পরিবারসহ সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত মির্জা ফখরুলের কানে এমন খবর পৌঁছার পর চটেছেন। ক্ষোভের সঙ্গে রোববার (২৭ আগস্ট) তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুল বাপের জমি বিক্রি করে চিকিৎসা ও রাজনীতি করে। আমাকে কেনা এত সহজ নয়।


বিজ্ঞাপন


রোববার রাতে মির্জা ফখরুল ইসলামের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা মেইলকে এ কথা জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার জন্য সহায়তা নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করছেন মির্জা ফখরুল।

পোস্টটিতে মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রী রাহাত আরার ছবির সাথে একটি চেকের ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছে। 

সোনালী ব্যাংকের চেকটিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ২০ আগস্টের। আর টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৫০ লাখ। দাবি করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক এটি। 


বিজ্ঞাপন


অবশ্য মির্জা ফখরুল অনুদান নিয়েছেন কিনা এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিবের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইউনুস আলী বলেন, মহাসচিবের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি এটাকে পুরোপুরি গুজব, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন, সম্মানহানি এবং হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে নকল চেক বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত মির্জা ফখরুলের বরাত দিয়ে শায়রুল কবির খান ঢাকা মেইলকে বলেন, এটা নোংরামি ছাড়া আর কিছু নয়। মির্জা ফখরুল বাপের জমি বিক্রি করে চিকিৎসা ও রাজনীতি করে। তাকে কেনা সম্ভব নয়।

>> আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো নিয়ে যা বললেন মোমেন
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ইস্পাত কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বিরোধী রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননের এক জঘন্য খেলায় মেতেছে সরকার বলেও মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেছেন বলে জানান শায়রুল।

তিনি বলেন, ‘এটা চমৎকার নোংরামির উদাহরণ। এ ধরনের নোংরামি যারা করতে পারেন তাদেরকে কোনো সভ্যতার মধ্যে উল্লেখ করা যাবে না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। তার ব্যাপারে অবান্তর কোনো গুজব ছড়ানোর আগে ভাবে চিন্তে করা উচিত। এ ধরনের মানুষদের বলব গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকবার জন্য।’

৭৬ বছর বয়সী মির্জা ফখরুল এর আগেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন। সবশেষ ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।

২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় তার ঘাড়ের ইন্টারন্যাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়লে মুক্তির পর সেখানে গিয়ে চিকিৎসা করান তিনি। এরপর প্রতিবছরই চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।

বিইউ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর