মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব: নানক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব: নানক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত কোনো আন্দোলনেই জিয়া ছিলেন না। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক জিয়ার সৃষ্টি হয়। তার চেয়ে বড় কথা বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হানাদার বাহিনীর পক্ষে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়েই জিয়ার নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, কারণ জিয়াই এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করার জন্য। বর্তমান সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা এখনও সক্রিয় রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে করে সাধারণ জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়।

আরও পড়ুন

জনগণ না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে সুনামি হবে না: কাদের

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র ব্যক্তি মুজিব হত্যা নয়। খুনি জিয়া গংদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙ্গালি জাতির যে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা তা আরও দৃঢ় করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার সুদৃঢ় নেতৃত্বে আমরা এখন সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ একমাত্র তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব। আর একারণেই খুনি জিয়া পরিবার বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির দিশারীতে আঘাত হানতে চায়, সংবিধানকে ভঙ্গুর করে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে চায়। আর এজন্য তরুণ সমাজকে সচেতন থাকতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

আলোচনা সভার সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন। আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর