বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

সেপ্টেম্বরে বহিষ্কার অভিযানে নামছে যুব মহিলা লীগ

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৪২ এএম

শেয়ার করুন:

সেপ্টেম্বরে বহিষ্কার অভিযানে নামছে যুব মহিলা লীগ
সেপ্টেম্বরে বহিষ্কার অভিযানে নামছে যুব মহিলা লীগ। ফাইল ছবি

গত ক’দিন ধরেই আলোচনায় কিশোরীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও চিত্র ধারণের ঘটনা। এ নিয়ে অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী। পরে বিষয়টি গড়ায় মামলা পর্যন্ত। পরবর্তীতে সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন অভিযুক্ত নারী। এরপর পরিচয় খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নারী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নাম মেহনাজ মিশু।

যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এমন একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে খবরের পাতায়।


বিজ্ঞাপন


আলোচিত ওইসব অভিযোগের মধ্যে উঠে এসেছিল নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ’র নাম। রাজনীতির অন্তরালে অস্ত্র, মাদক ও দেহ ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। পরে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয় পাপিয়াকে। বর্তমানে কারাগারে আছেন যুব মহিলা লীগের সাবেক এই নেত্রী।

এছাড়াও গত বছর গাজীপুর মহানগর বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতানা লতা শোভাকে মাদক সেবনের অভিযোগে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

প্রতিনিয়তই এমন অসংখ্য অভিযোগ মিলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য, বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের শীর্ষ দুই নেত্রীর।


বিজ্ঞাপন


সবশেষ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে যুব মহিলা লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আলেয়া সারোয়ার ডেইজি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক এই প্যানেল মেয়র আওয়ামী লীগের একজন পরিক্ষিত নেত্রী। জোট সরকারের সময় দলের প্রতি নিজের আনুগত্যের অসংখ্য প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। তবে নামের পাশে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কিংবা দলের নাম ভাগিয়ে কোনো অপকর্মের নজির নেই ডেইজির বিরুদ্ধে।

তার সঙ্গে স্লোগানের সঙ্গী হওয়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির ইমেজও ‘ক্লিয়ার’। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেত্রীও দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। পদ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি বা দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধেও।

নিজেরা শুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সংগঠনকেও শুদ্ধ করতে চান যুব মহিলা লীগের শীর্ষ এই দুই নেত্রী। বর্তমানে আগস্টে শোকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে সংগঠনটির। তাই অতি জরুরি না হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে ভিন্ন কোনো কার্যক্রম করা হচ্ছে না। তবে সেপ্টেম্বরে ‘বেঁকে’ বসতে যাচ্ছেন তারা।

Jubo Mohila League
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের লোগো। ফাইল ছবি

যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটির বিভিন্ন জেলা, উপজেলা কমিটির নেত্রীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ কেন্দ্রে জমা হয়েছে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে অনেক অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেত্রীরা। আর অভিযুক্তদের তালিকাও বেশ লম্বা। শোকের মাসের কর্মসূচি শেষ হলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খোদ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি।

ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তরা সবাই আগের কমিটির।’

অভিযুক্ত যে বা যারাই হোক না কেন, দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আলেয়া সারোয়ার ডেইজি বলেন, ‘আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস। আমরা এই মাসে শোকের কর্মসূচিগুলো পালন করছি। সেপ্টেম্বরে আমরা কঠোর অবস্থানে যাবো। যারা সংগঠনের নীতি বহির্ভূত কাজে জড়িত থাকবে, তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।’

কারই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর