দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিশেষ এই বর্ধিত সভায় যোগ দিয়ে উন্নয়নের প্রচার আর সক্রিয়তার বার্তা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা।
রোববার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই সভা বিকেলেও চলছিল। মাঝখানে বিরতিতে তৃণমূল থেকে আসা কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজের কাছে সভার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আজকে এখানে তৃণমূল নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে এরকম সভা করা আর সম্ভব হবে না। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০টি সাংগঠনিক জেলার বক্তব্য শুনেছেন এবং সেগুলো নোট ডাউন করে রেখেছেন।’
এই নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে ফখরুল সাহেবরা ষড়যন্ত্র করছেন, সাংগঠনিকভাবে সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জনগণকে তার পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করার ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘নেত্রী আমাদেরকে বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা কেউ কখনো করেনি। এই উন্নয়নের বার্তায মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন। আর আমরা বলেছি, আমরা আপনার হাতে আবারো দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব তুলে দিতে চাই। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
বিজ্ঞাপন
গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নেত্রীর প্রারম্ভিক বক্তব্য শুনেছি। অনেক দিন পরে এত কাছ থেকে দলীয় সভাপতিকে দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। নেত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে যত উন্নয়ন হয়েছে সে উন্নয়ন বার্তা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’
জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রায় দুই কোটি মানুষ সরকারের থেকে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। গৃহীনরা ঘর পেয়েছে এমন বহু অর্জন শেখ হাসিনার শাসনামলে হয়েছে। সেই উন্নয়ন বার্তাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার পেশাজীবী শ্রমজীবীসহ মানুষের জন্য যা করেছে তা স্বাধীনতার পরে আর কেউ করতে পারেনি।’
এই নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যথাসময়ে হবে। দলীয়প্রধান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে না বলে আমি আশা করি। কারণ তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা ক্ষমতায় এলে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি হবে। আমরা মাঠ পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ আছি। যিনি নৌকা প্রতীক পাবেন তার সঙ্গে আমরা কাজ করে বিজয়ী করব। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমাদের চলার পথ মসৃণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের জনগণ শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার বিজয়ী করবে বলে মনে করি।’
শহরতলীর এই নেতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর খুব কাছ থেকে দলীয়প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়েছি। আজকের সভাটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে এসে সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলতে পেরে ভালো লেগেছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপসহীন এবং তার নেতৃত্বে সমগ্র বাংলার মানুষ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।’
কারই/জেবি