কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার (১৭ জুলাই) চট্টগ্রামের রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে এ বছর একযোগে পাঁচ লাখ গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে দাবি করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল। সেটিও বিএনপি মেনে নেয়নি। বিগত ১৪ বছর ধরে বিএনপি একই কোরাস গেয়ে চলেছে এবং হরতাল আর আন্দোলন করে যাচ্ছে। এখন আবার হরতালের ভয় দেখাচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দল। বিএনপিকে মোকাবেলা করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির সন্ত্রাস মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত আছে।
সংলাপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আলোচনার আগে বিএনপিকে স্বীকার করতে হবে তারা নির্বাচনে আসবে, সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন। তবেই চিন্তা করা যাবে আলোচনার কথা।
বৃক্ষরোপণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষ এখন আতঙ্কিত। বিশ্বের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞানীসহ সকলেই প্রায় সব ফোরামেই পৃথিবী রক্ষায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর আহ্বান জানাচ্ছেন, গাছ লাগানোর কথা বলছেন।
বিজ্ঞাপন
দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছেন বলেও জানান তিনি।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন কৃষি, মৎস্য ও বৃক্ষরোপণ ক্যাটাগরিতে পাঁচ বার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি জানান, এ বছর রাউজান উপজেলায় ৫১ রকমের ফলদ ও বনজ পাঁচ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে। এর আগে গত ১০ বছরে ২০ লাখ চারা রোপণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী, পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সামাদ শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল ওহাব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জেবি