বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

তিনি আসবেন এবং আমরা জেগে উঠব

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

তিনি আসবেন এবং আমরা জেগে উঠব

অন্যের ভালো দিকগুলো খুঁজতে গেলেই নিজের সেরাটা বের করে আনা যায়- এমন উক্তির গ্রহণযোগ্যতা তো রয়েছেই। মানুষ তাঁর কর্মগুণে বড় হয়। থেকে যায় বেঁচে থাকা মানুষের মনের গহীনে। কাজেই শ্রেষ্ঠ কর্ম করেই উদাহরণ সৃষ্টি করতে হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা তেমনই এক চরিত্র। যিনি তাঁর পিতার সকল আদর্শ ধারণ করে আজকের পৃথিবীতে আলাদা এক সত্তা। যিনি বিশ্রাম নিতে জানেন না। কাজ আর কাজ করতে তিনি ভালোবাসেন।

‘ঘুমিয়েই কি কেটে যাবে একটি জীবন? জীবন হোক কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর, ছুটে চলার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কবরের জীবন চিরকাল পড়ে রয়েছেই।’- এমনটি বলেছিলেন, হযরত আলী (রা.)। সত্যিই তাই। এদিকে বাংলাদেশ যার নেতৃত্বে এখন এগিয়ে যাচ্ছে, তা না দেখে, ভান করে ঘুমিয়ে থাকা কী যায়? জেগে ঘুমানোর মতো করেই তবুও একটি শ্রেণি রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে পর্যালোচনা করলে তা বলাই যায়।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কাছেই চাওয়া- এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে উদ্যোগের উপর উদ্যোগ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নারী শেখ হাসিনার পদক্ষেপে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে গেছে, তা নিয়ে ভাবতে হবে তো। হ্যাঁ, রাজনৈতিক দলের নামে একটি অপশক্তি জেগে ঘুমিয়ে থাকুক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ওরা নিজেরাও বুঝতে পারে, বাংলাদেশ আর্থ সামাজিক ক্যানভাসে যে বিপ্লব করতে পেরেছে, তা সম্ভব হয়েছে ওই একজন শেখ হাসিনার জন্যই।

শেখ হাসিনা, তিনিই আমার প্রিয় শহর রাজশাহীতে এবার আসছেন। আগেও এসেছেন। তবে পুরো বাংলাদেশের মধ্যে যে নগরীকে আমি বিশ্বসেরার পর্যায়ে নিয়ে যেতে একজন কর্মী হিসাবে ভূমিকা পালন করেছি, তা পরখ করতে তিনি আসুক। আমি নিশ্চিত যে, পুরো শহরবাসী ও আশপাশের জেলাগুলোর মানুষ তাঁকে দেখতে আসবে। এরপর তাঁর ভাষণ শুনে আমরা জেগে যাব। রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথচলায় নির্দেশনা পাওয়াটাও জরুরি। আমরা তা পাবো। মানুষ ফলত তাঁকে দেখবার জন্য ব্যকুল। এই অপেক্ষার প্রহর কেটে যাবে, যখন ২৯ জানুয়ারি জননেত্রী রাজশাহীতে পা রাখবেন।

>> আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা: দ্য লেজেন্ড অফ আ ফাদার


বিজ্ঞাপন


একজন শেখ হাসিনার জীবনের যে গল্প তা অনুধাবন করার পর্যায়ে আমরা কতজন যেতে পেরেছি? পিতা-মাতাসহ পরিবারের প্রায় সব্বাইকে হারিয়ে এই সংগ্রামী নারী ঝিমিয়ে পড়েননি, লড়ে গেছেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্যদিয়ে তাঁর শ্রেষ্ঠ শাসক হয়ে পড়া ও দল পরিচালনা করার অদম্য দিকটি নিয়ে চিন্তা করতে পারলে কখনো আবেগে ভাসি, কখনো রোমাঞ্চিত হই। বিখ্যাত উক্তিটি মনে পড়ে। যখন বলা হলো, ‘প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারো।’

শেখ হাসিনা তাই এমন এক গল্প রচনা করেছেন, যেখানে তিনি আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা, যার তুলনাও তিনি নিজেই। তিনি কার্যত এক বিজয়ী সত্তা। যখন ব্যক্তিবিশেষ মতবাদ রেখে বললেন, ‘লক্ষ্যের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেও যখন সবাই তোমাকে সমর্থন করে না, অনেক ক্ষেত্রে তিক্ত স্বাদ পেতে হয়- তাতে দুঃখের কিছু নেই। এই কঠোর পরিশ্রমের ভেতর দিয়ে তুমি হয়ে উঠেছ আরও শক্তিশালী, আরও অভিজ্ঞ, আরও দক্ষ- এটাই তো সত্যিকারের বিজয়।’

>> আরও পড়ুন: মেট্রোরেল ও প্রতীক্ষার অবসান

শেখ হাসিনার জীবন ও সেই প্রশ্নে আরও তিনটি মতবাদের ওপর বিশ্লেষণ করে আজকের লেখাটিকে সমৃদ্ধ করা যাক। যেমন একটি অর্থবহ উক্তি ছিল, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দের অনুভূতিটি হচ্ছে যখন তুমি একটি লক্ষ্য ঠিক করেছিলে, সেই লক্ষ্যটি পূরণ করতে পারলে।’ শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন যে, বাংলার মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে হবে। এই একটিমাত্র লক্ষ্যকে সামনে রেখে তিনি বাংলাদেশের মানুষগুলোকে হতাশ করে নি। অথচ, তাঁর মনে কোনো অহংবোধ নেই, দাম্ভিকতা নেই। যেমনটি ছিলেন তেমনই আছেন। যা তাঁর জীবনের অংক মিলে যায় আরেকটি নিম্নোক্ত মতবাদের সঙ্গে। ‘দাম্ভিক হওয়া সহজ, বিনয়ী হতে হলে প্রয়োজন অসাধারণ আত্মসম্মান এবং মানসিক শক্তিমত্তার।’

মানসিক শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে নেতৃত্বের অন্যতম সেরা গুণের অধিকারিণী হয়ে শেখ হাসিনা নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। আমি বিশ্বাস করি এখন, বাংলাদেশের মানুষগুলোর তাঁকে ঘিরে প্রতিদানের সময়টা হয়েছে। সেটা শুধু ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে নয়, তা হলো, শেখ হাসিনাকে সম্মান করে টিকে থাকা। মনে রাখতে হবে, ‘পৃথিবীটা হচ্ছে একটি আয়নার মতো- তুমি সবার সঙ্গে যেমন ব্যবহার করবে যেমন মনোভাব পোষণ করবে ঠিক তেমনটাই ফিরে পাবে প্রতিদানে।’

>> আরও পড়ুন: জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা

শেখ হাসিনা মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হতে লড়ে যাচ্ছেন, যাবেন। সেই মানুষটি যখন আজ রাজশাহীর মাটিতে আসবেন, আমি সত্যিই পুলকিত এবং অভিভূত। হ্যাঁ, আমি উন্নত দেশগুলোয় যেয়ে তাদের সজ্জিত শহরগুলোকে মনের কেন্দ্রে জমা করে ছবি তুলে রেখে রাজশাহীকে দেশের শ্রেষ্ঠ নগরী হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি---। আগামী দিনগুলোয় জাতীয় রাজনীতির খুঁটিনাটি বিষয় থেকে শুরু করে দারুণসব কাজে নিজেকে নিয়োজিতও রাখব, তবে ওই একজন শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে বলতে চাই, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে--- উজ্জীবিত কর আমায়-আমাদের, জয় বাংলা বলে!’ একজন শেখ হাসিনার আসন্ন রাজশাহী সফর, সকলেই অপেক্ষারত।

লেখক: সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর