শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শুভ জন্মদিন নেত্রী

জেসমিন সুলতানা
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:০৮ এএম

শেয়ার করুন:

শুভ জন্মদিন নেত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। আঠার কোটি বাঙালির প্রাণ, অভিভাবক ও স্বপ্নদ্রষ্টা।

জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্বের সেরা দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। আমাদের অহংকার, আমাদের দীপশিখা যে আলোকে আলোকিত পুরো বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় মহিয়সী, গরীয়সী প্রধানমন্ত্রীর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ আজ ধন্য ও পরিপূর্ণ।


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মজীবনে প্রায় চার দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত। নানাবিধ প্রতিকূলতার মাঝেও দীর্ঘসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এমন সৌভাগ্য ক’জনার আছে যিনি দেশের স্থপতির কন্যা এবং নিজেও সেদেশের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্ট একদল ক্ষমতা লোভী, পথভ্রষ্ট, ষড়যন্ত্রকারী সেনা সদস্যের গুলিতে নিহত হন পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ভাই, ভাতৃবধূ, চাচাসহ পরিবারের ২৬ জন সদস্য। কি বেদনা! কি যন্ত্রণা! কি ক্ষত নিয়ে তিনি বেঁচে আছেন তিনিই জানেন।  আল্লাহ পাকের অশেষ কৃপায় ও রহমতে জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে তিনি এবং বোন রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন।

দেশে ফিরে ১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর, সামরিক শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া লক্ষ্যে  কাজ করে রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সফল নেতা।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ ও ১৯৯১-১৯৯৫ পর্যন্ত বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।  
পরবর্তীতে ১৯৯৬-২০০১ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, ২০০৮ সনে নির্বাচিত হয়ে চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন।


বিজ্ঞাপন


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আজ ও সকাল সন্ধ্যা কাজ করে যাচ্ছেন। দিয়েছেন আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, উড়াল সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, মেট্রোরেল, কতোকি  যোগাযোগ ব্যবস্থার ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না।

২০২২ সালের হিসাব মতে গৃহহীন ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪ জনের গৃহের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় পৃথিবীকে আজ হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছেন।

নারী ক্ষমতায়ন, নারী উন্নয়নে তিনি মাইলফলক সৃষ্টি করে নারীকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে। করোনার সময়ে সমগ্র পৃথিবী যখন স্থবির তখনও শিক্ষাঙ্গন থুবড়ে পড়েনি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বিচারাঙ্গনে বিচারিক কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলেছে। অনাহারে অর্ধাহারে বিনা চিকিৎসায় একটি মানুষ ও মৃত্যুবরণ করেনি। বিনা পয়সায় করোনা টিকার ব্যবস্থা করেছেন।
দেশ আজ সর্বক্ষেত্রে স্বাবলম্বী অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসা কোনো কিছুরই অভাব নেই। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলে ও নেতৃত্বে।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। আমরা আইনজীবীরা কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি আমাদের বার কাউন্সিল ভবন করে দিয়েছেন, আমাদের পুরনো সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনকে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাজিয়ে দিয়েছেন, করোনাকালে ২০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন, আইনজীবীদের বসার জন্য নতুন ভবন তৈরি করে দিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি আদালত নতুন সাজে সজ্জিত।

তারপর প্রশংসা নেই, সত্যকে সত্য বলার সক্ষমতা নেই, উন্নয়নের ফল ভোগ করবে অথচ প্রশংসায় কৃপণতা। চোখে কালো চশমায় আবৃত করে রেখে দেখেও না দেখার ভান করে অনেকেই। শুধুই মিথ্যাচার, ভুল তথ্য দেশ বিদেশে প্রচার করে প্রপাগাণ্ডা চালায়। আল্লাহ পাক মিথ্যাবাদীদের ঘৃনা করেন।

আজকের এই দিনে একটাই আল্লাহ পাকের কাছে চাওয়া আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘজীবন দান করুন। বেঁচে থাকুন আমাদের স্বার্থে, আমাদের ভালোবাসায়। আপনি আমাদের স্বপ্ন সারথি, আশার প্রদীপ। দেশ নিরাপদ আপনার কাছেই। জন্মদিন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মহান আল্লাহ আপনাকে  ভাল রাখুন। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সদস্য, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর