মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৫৪ বছরে কতটা এগোলো বাংলাদেশ?

লে. আবু রুশদ (অব.)
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০২ এএম

শেয়ার করুন:

৫৪ বছরে কতটা এগোলো বাংলাদেশ?

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাংলাদেশ কি পাকিস্তান থেকে এগিয়েছে না পিছিয়েছে? পাকিস্তানের শঠ ও ধুর্ত রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টো তার একসময়ের পররাষ্ট্র সচিব আজিজ আহমাদকে বলেছিলেন পূর্ব পাকিস্তান কি পাকিস্তানের জন্য সম্পদ না বোঝা তা নিয়ে একটা রিপোর্ট তৈরি করতে। আজিজ আহমাদ তার রিপোর্টের শেষে উল্লেখ করেন ‘পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের জন্য একটি বোঝা’। প্রতিবছর বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে ক্ষতি হয় তা টানতে হয় পশ্চিম পাকিস্তানকে। পূর্ব পাকিস্তানিরা তার দৃষ্টিতে ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের চেয়ে কম পরিশ্রমী। এক কথায় বললে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তান ছিল লায়াবিলিটি, এসেট নয়!

আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এসে অনেক কথাই শোনা যায়। ইতিহাসের পরিক্রমায় ইতিহাস তৈরি হয়। বাংলাদেশও ইতিহাস তৈরি করেছে। হাজারো সীমাবদ্ধতায় ইতিহাস দাঁড় করিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


একথা সত্য যে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি, জঙ্গি বিমান—ট্যাংক—মিসাইল উৎপাদন, পারমানবিক সক্ষমতা অর্জন দেখলে মাথা ঘুরে যায়। বাংলাদেশের সেরকম সামরিক সক্ষমতা নেই এটা বাস্তব, চরম বাস্তব। কিন্তু বাংলাদেশ কি স্বাধীন হয়ে কিছুই অর্জন করেনি? বাংলাদেশের ভূখণ্ড হারিয়ে পাকিস্তান কি সামাজিক, অর্থনৈতিক খাতে এগিয়ে গেছে? না কি বাংলাদেশের পেছনে পড়েছে? এখন কি ভুট্টোর প্রেতাত্মারা বলতে পারবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের জন্য লায়াবিলিটি? নাকি বাংলাদেশের অর্জন আজ পাকিস্তানের চেয়ে বেশি?

শুধু সামরিক ক্ষমতার বৃদ্ধি একটি দেশের সবকিছু নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাথাপিছু আয়, জিডিপি, গড় আয়ু, নারীর ক্ষমতায়ন, স্যানিটেশন, সুপেয় পানির প্রাপ্যতা—এসব নিয়েই একটি দেশের অগ্রগতিকে চিহ্নিত করা হয়। এর প্রতিটি খাতে পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের পেছনে। মোট দেশজ আয়েও বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে। গড় আয় পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ। তিন দিকে বৈরি সীমান্ত নিয়েও ছোট্ট বাংলাদেশ প্রতিরোধ করে টিকে আছে। এটা সাহস, রেজিলিয়েন্সের এক অদম্য প্রকাশ। কোন গল্প গাঁথা নয়। আমরা গর্ব করে বলতেই পারি আজিজ আহমাদের দেওয়া রিপোর্ট বাংলাদেশের মানুষ ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে।

শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করলেই দেখতে পাবো আমাদের অর্জন কি খুব একটা কম ১৯৭১ এর পর? না। আমরা প্রায় সব খাতেই এগিয়েছি। অবিশ্বাস্যভাবে এগিয়েছি। পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়েছি। দেখা যাক অগ্রগতিগুলো:

১। ১৯৭১ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানে মাথাপিছু আয় ছিল ১৭২ মার্কিন ডলার। পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে পূর্ব পাকিস্তানের আয় ছিল দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১১৪ ডলার।


বিজ্ঞাপন


১৯৭২ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ৮৮ মার্কিন ডলার বা সেসময়ের হিসাবে ৫৬৬ টাকা মাত্র। সেবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ৬ দশমিক ২৮৮ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী আজ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮ শত ৬০ ডলার। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ৪৮২ বিলিয়ন ডলার (প্রজেক্টেড)।

ভারতের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৪০ ডলার। পাকিস্তানের মাত্র ১ হাজার ৪৮৫ ডলার।

২। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৯ দশমিক ৬ বছর। আজ তা ৭২ দশমিক ৬ বছর। ভারতে মানুষের গড় আয়ু ৬৮ দশমিক ৩ বছর। পাকিস্তানে ৬৭ দশমিক ৩ বছর।

৩। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে শিক্ষার হার ছিল ৪৭ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ শতাংশে। ভারতে শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশ। পাকিস্তানে ৫৮ শতাংশ।

৪। মানব সম্পদ উন্নয়নে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল বিশ্বে প্রায় সর্বনিম্নে, যদিও তখন মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচক তৈরি করা হতো না। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯ তম। ভারতের অবস্থান ১৩০ তম। পাকিস্তানের অবস্থান ১৬১ তম।

৫। ১৯৭২ সালে দেশের প্রায় ৮২ ভাগ জনগণ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করতো। আজ তা কমে ২০ ভাগে নেমেছে।

৬। স্যানিটেশন ও সুপেয় পানি প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীতে ১২৯ তম। ভারতের ১৩৯ তম ও পাকিস্তানের ১৪৪ তম।

৭। পানযোগ্য পানি প্রাপ্যতায় বাংলাদেশে জনগণের প্রায় ৯৮ ভাগ এখন অন্তত টিউবওয়েল বা পাইপ লাইনে সরবরাহকৃত পানি পান করতে পারে। যদিও আর্সেনিক ও বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া জনিত দূষণে পানির স্বাস্থ্যগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ১৯৭২ সালে এই হার ছিল মাত্র ৩০ ভাগ। এদিকে ভারতে পানযোগ্য পানি পায় ৭৫ ভাগ মানুষ। পাকিস্তানে মাত্র ৫০ ভাগ।

৮। ১৯৭২ সালে প্রতি ১ লাখে প্রায় ৭ শ’জন প্রসূতি মারা যেত বাংলাদেশে। এখন সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি লাখে ১৩৬ জন। ভারতে ১৭৪ জন। পাকিস্তানে ১৭৮ জন।

৯। বাংলাদেশে প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষ স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহার করে। ভারতে এখনো প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে থাকে, যদিও ভারত সরকার প্রচুর টয়লেট নির্মাণ করেছে। কিন্তু তাদের গ্রামীণ জনগোষ্ঠির একটা বড় অংশ তারপরও খোলা মাঠে যায় টয়লেট ছেড়ে। পাকিস্তানে প্রায় ২৯ ভাগ মানুষের জন্য স্যানিটারি টয়লেটের ব্যবস্থা নেই।

স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন হেনরী কিসিঞ্জার। স্বাধীনতার পর আরাপিত অস্থিরতা, চরম দুর্নীতি, অপশাসনের জন্য বেশ কয়েক বছর বাংলাদেশ আশানুরূপ এগোতে পারেনি। কিন্তু শত প্রতিকূলতা, রাজনৈতিক বিভেদ, সংঘাতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের সংগ্রামী হিসাবে প্রমাণ করতে পেরেছে।

আজ নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য রকম এগিয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি চমক দেখিয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ মধ্যপ্রাচ্যসহ মালয়েশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে অশল্পনীয় রেমিটেন্স প্রেরণ করছেন। যদি তাদের প্রযুক্তিগতভাবে প্রশিক্ষিত করা যায় তাহলে এই রেমিটেন্স হয়তো চার/পাঁচগুণ বাড়বে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতায় বাংলাদেশ বিশ্বে এক রোল মডেল। টাইফুন, টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড় এখন আর বাংলাদেশিদের আতঙ্কিত করে না। তারা যুদ্ধ করে আবার জীবন গড়ে তোলে ঝড়ের তাণ্ডবের পর। পশ্চিম পাকিস্তানের সম্পদ এজন্য নিতে হয় না বাংলাদেশকে।

১৯৭২ সালে যেখানে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি সেখানে আজ তা প্রায় বিশ কোটি। অর্থাৎ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে জনসংখ্যা। যদি আজ তা সাড়ে সাত কোটি এমনকি দশ কোটি থাকতো তাহলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হতো অনেক, অনেক বেশি। তখন আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে অধিক পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিতে পারতাম। সামরিক খাতেও হতো আশানুরূপ উন্নয়ন। জীবনযাত্রার মান হতো চোখে পড়ার মতো। আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

আজ মালয়েশিয়ার প্রজেক্টেড জিডিপি ৪৭০ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশের চেয়ে কম। কিন্তু জনসংখ্যা বিবেচনায় মাথাপিছু আয়ে কতো বড় ফারাক! মালয়েশিয়ার জিডিপি পার ক্যাপিটা ১৪ হাজার ১৭০ ডলার! কারণ মালয়েশিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ৬০ লাখ।

বাংলাদেশের অগ্রগতির সবচেয়ে বড় বাধা তা সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক যাই হোক না কেন সেটা হচ্ছে গত ৫৪ বছরে জাতিগত কতোগুলো বিষয় এখনো ঠিক করতে না পারা। স্বাধীনতার পর যে সুযোগ ছিল সেই সুযোগ চরম রাজনৈতিক অস্থিরতায় হারিয়ে গেছে। যেই গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছে সেই গণতন্ত্রকে ঠিকমতো বিকশিত হতে দেওয়া হয়নি। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে চলতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

চরম অসহিষ্ণুতা এখনো অগ্রগতির চাকাকে ধীর করে দিচ্ছে। হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশটার ক্ষমতার পরিবর্তন হতো তাহলে শত রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও একটা সিস্টেম দাঁড়িয়ে যেত এতদিনে। কিন্তু তা হতে দেওয়া হয়নি। এখনো চারদিকে হাইপার, অতি হাইপার অস্থির মানুষের ছড়াছাড়ি।

বিতর্ক থাকবেই। এমনকি জাতিগত বিষয়েও বিতর্ক থাকে, থাকবে। তা চলতে দেওয়া উচিত। জনগণই একসময় নির্ধারণ করবে বিতর্কের কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক। শুধু থাকতে হবে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা।

অনেক শিক্ষিত মানুষ প্রায়ই বলেন ডাণ্ডা মেরে সব ঠাণ্ডা করে দেশ চালাতে হবে। সামরিক, বেসামরিক প্রশাসনের অনেকেও নিতান্ত ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থে রাজনৈতিক দলের পদলেহন করে নানা তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়। এসব বন্ধ করা বাঞ্ছনীয়। দেশ রাজনীতিবিদরা চালাক। কূটনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত বিষয়াদির সিদ্ধান্ত নিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। ধীরে হলেও দেশটা আগাবে।

বিয়ে করার পর সন্তান হয়ে গেলে কেউ বিয়ের বৈধতা নিয়ে বাচালের মতো বিতর্ক করে না। বিয়েটাকে মেনে নেয়, সংসার করে, সন্তানদের বড় করে। তালাক হলেও বিয়েটা তো ছিল বৈধ!

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়ে গেছে, বাংলাদেশিরা জয়ী হয়েছে, তারা দেশটাকে টিকিয়ে রেখেছে হাজারো ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে অযথা বিতর্ক করছেন ভালো না লাগলেও তাদের তা করতে দেওয়া উচিত। কারণ দেখতে হবে তাদের যুক্তি ও তথ্যগুলো কতটা সত্য, কতটা অসত্য। একসময় অসত্য পরাজিত হবে। নিশ্চিত পরাজিত হবে। সন্তানের বিয়ে দেওয়ার পর কেউ কি বলে তার নিজের  বিয়েটাই ভুয়া ছিল? যদি কেউ বলে বলুক। তাহলে তার সবকিছুই তো ভুয়া হয়ে যায়! সন্তান ভুয়া হয়ে যায়! যে ভুয়া হতে চায় হোক। ক্ষতি কি? বাংলাদেশ তো আর ভুয়া নয়।

বাংলাদেশের অগ্রগতি তো আর ভুয়া নয়। সীমান্ত তো ভুয়া নয়। এদেশের মানুষ তলাবিহীন ঝুড়িকে একটা ভায়াবল অর্থনীতিতে পরিণত করেছে সেটা তো আর ভুয়া নয়।

বিরোধিতা করেও তো এদেশের সীমানার মধ্যে থেকেই রিজিক আহরণ করতে হচ্ছে তাদের যারা মুক্তিযুদ্ধটাকে বিতর্কিত করতে চাইছেন এত বছর পর। তারাও রিজিক অর্জন করুক এই দেশে। তারাও তাদের অধিকার নিয়ে থাকুক। কিন্তু নিজের বিয়েটাকে অস্বীকার করে সন্তানের বিয়ে কীভাবে দেবেন? প্রশ্নটা থাকলো তাদের প্রতি।

বাংলাদেশের জনগণের ৯৮ দশমিক ৭ ভাগ হলো বাংলাভাষী। কোরিয়ার পর ভাষা ও জাতিগত যুথবদ্ধতায় বাংলাদেশ পৃথিবীতে দ্বিতীয়। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। হতে পারে রাজনৈতিক কারণে রেষারেষি প্রায়ই আমাদের মধ্যে সীমা ছাড়িয়ে যায়। তারপরও আমরা পাশাপাশি থাকি। যে বা যারা আজ পতিত, যারা স্বাধীনতাকে নিয়ে প্রশ্ন করছে তারাও একই ভাষায় কথা বলে। তাদেরও থাকতে হয় একে অপরের পাশে। দেশটা খুবই ছোট আকৃতির। যাবে কোথায়? সব তো আর সীমানা পেরিয়ে চলে যেতে পারবে না। দেশেই থাকতে হবে। এখানেই লেখাপড়া করতে হবে, পাশের বাড়িতে ঈদের দিন, পূজার দিন যেতে হবে। বিয়ে শাদি করতে হবে। যাবেন কোথায় আর?

আল্লাহ আমাদের পরম প্রিয় মাতৃভূমিকে হেফাজত করুন। আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন। আল্লাহু আকবর। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা। সামরিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক। সম্পাদক ডিফেন্স জার্নাল।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর