দেশের অর্থনীতির গতিপথ নির্ভর করছে প্রবাসীদের আয়ের অর্থের ওপর। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশকে, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য প্রাণান্ত কষ্ট করে যাচ্ছে। আর এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জিডিপিতে প্রতিনিয়ত কন্ট্রিবিউট করে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষিত জনগোষ্টিকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব লাগব করার চেষ্টা করছে ইউএস-বাংলা গ্রুপ।
দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে ইউএস-বাংলা গ্রুপ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে কাজ করছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদাকে দেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে ইউএস-বাংলা।
বিজ্ঞাপন
ইউএস-বাংলা গ্রুপ প্রতিষ্ঠার শুরুতে দেশের মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা বাসস্থান সমস্যার সমাধান খুঁজতে ইউএস-বাংলা এসেটস্ এর মাধ্যমে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির আবির্ভাব ঘটায়। অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশে বাসস্থান সংকট প্রকট। মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত সকল শ্রেণির নাগরিকদের জন্য আধুনিক সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রেখে একটি সবুজায়নে ভরপুর পূর্বাচল আমেরিকান সিটি উন্নত নাগরিক সুবিধার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বপ্নের চেয়ে বেশি সুবিধাসম্পন্ন প্রকল্প পূর্বাচল আমেরিকান সিটি।
মৌলিক চাহিদার অন্যতম হচ্ছে স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই স্বাস্থ্য সেবাকে নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ইউএস-বাংলা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছে ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ইউএস-বাংলা মেডিকেলে শুধু চিকিৎসা সেবাই দেয় না, উপরন্ত মেডিকেল কলেজ থেকে প্রতি বছর মেধাসম্পন্ন ডাক্তার পাস করে সারা বাংলাদেশে আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে, যা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে গতিশীল রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, উচ্চ শিক্ষার অন্যতম দিগন্ত। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় অবস্থানে পৌঁছে দিতে ইউএস-বাংলা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ গ্রিন ইউনিভার্সিটি। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
ভাইব্রেন্ট আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে, নতুন প্রজন্মের চাহিদা অনুযায়ী দাম ও মানের প্রতি যত্নশীল থেকে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে ভূমিকা রাখছে। নারী, পুরুষ, শিশুসহ সকল বয়সের মানুষের জন্য লেদার সামগ্রী, গার্মেন্টস পণ্যসহ নানাবিধ বস্ত্র সামগ্রী দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে ন্যনতম অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের সেবা করে যাচ্ছে ভাইব্রেন্ট। সারা দেশে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতে ভাইব্রেন্টের পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য নিজস্ব আউটলেট স্থাপন করে চলেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ এভিয়েশনে পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নে অনন্য ইউএস-বাংলা
প্রতিষ্ঠার ১০ বছর সময়কাল দেশীয় বিমানসংস্থার জন্য ‘অশনি’ না ‘শুভ’ সংকেত
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম নিজেদের একটা অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এখানে সময় একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। খাদ্য তৈরিতে সময়ক্ষেপণ না করে নতুন প্রজন্ম রুচিসম্মত খাদ্যগ্রহণে সারাবিশ্বেই ফুড অ্যাপসের মাধ্যমে খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন প্রজন্মের জন্য সময়টাকে ক্যাশ করার জন্য ‘ফুডি’র আবির্ভাব। আর সেই আবির্ভাবে মূলে রয়েছে ইউএস-বাংলা গ্রুপ।
ইউএস-বাংলা গ্রুপ যাত্রা শুরুর পর থেকে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির পরিকল্পনায় ছিল সেবা। সেবাই ধর্ম- এই ব্রত থেকেই ইউএস-বাংলা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ইউএস-বাংলার এয়ারলাইন্সের আবির্ভাব ঘটান। দেশের ১৫ মিলিয়ন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার মানসে, দেশের আকাশপথকে সাবলীল রাখার নিমিত্তে গড়ে তোলে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বর্তমানে ৪৩৬ আসনের দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। যা দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সকল বিমানবন্দরসহ বিশ্বের ১০টি দেশের ১৪টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নকে সাথে নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই থেকে বাংলাদেশের আকাশ পথে বিস্তৃতি লাভ করেছে। যা দিয়ে বাংলাদেশের এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজেম ইন্ডাস্ট্রিকে স্থিতিশীলতা দিতে পারছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ ইউরোপের গন্তব্য বিশেষ করে লন্ডন, রোমসহ আরও অধিক গন্তব্য এবং ২০২৮ সাল নাগাদ টরেন্টো, নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এভিয়েশন ব্যবসা একটি সেবাধর্মী ব্যবসা। এয়ারলাইন্সকে আরও বেশি গতিশীল করার নিমিত্তে ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যবসাকে সাবলীল করার লক্ষ্যে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি অ্যাপসের মাধ্যমে এক প্লাটফর্মে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, এয়ার টিকেট, লোকাল ট্রান্সপোর্টসহ যাবতীয় চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে ইউএস-বাংলা গ্রুপ চারটি ওটিএ কোম্পানি তৈরি করেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে ট্রিপলাভার, ফার্স্টট্রিপ, ট্রাভেলচ্যাম্প ও টেকট্রিপ। যা দিয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ব্যবসায়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ট্রাভেলারদের যোগ করতে পারছে। সারাবিশ্বের সকল এয়ারলাইন্স, হোটেলকে এক প্লাটফর্মে উপস্থাপন করতে পারছে। ট্রাভেলাররা চাহিদামতো সেসকল প্লাটফর্ম থেকে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী টিকেট, হোটেলসহ অন্য সকল সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে।
সময়কে প্রাধান্য দিয়ে সেবাকে উপস্থাপন করে ইউএস-বাংলা গ্রুপ ই-কমার্স ব্যবসায় যোগ করেছে ‘কার্টআপ’, অনলাইনভিত্তিক ‘ক্যারিবি’। বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের যেকোনো সংবাদ মুহূর্তে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনলাইন নিউজপেপার সকলের গ্রহণযোগ্য ঢাকা পোস্ট, ঢাকা মেইল এবং অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে দৈনিক আজকের পত্রিকা পাঠকদের জন্য নিয়ে আসে ইউএস-বাংলা গ্রুপ। দেশের সফটওয়্যার ব্যবসাকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার তাগিদে উন্নত জাতি গঠনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দেশের সব শিল্পকে দ্রুততার সাথে সেবা দেওয়ার জন্য ইউএস-বাংলা গঠন করে ‘টেকনোনেক্সট’।
শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে ‘সময়’ আধুনিক বিশ্বে অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। সময় বাঁচিয়ে সেবাকে প্রাধান্য দিয়ে ইউএস-বাংলা গ্রুপ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে চলেছে, যা দিয়ে দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরণসহ অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে।
লেখক: মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ, ইউএস-বাংলা গ্রুপ

