রোববার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

আওয়ামী লীগের ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ ব্যবসায় ধস!

অনিরুদ্ধ অনিকেত
প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
প্রতীকী ছবি

মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার চেতনায় উদ্ভাসিত হোক বাংলাদেশ- এমন চাওয়া সর্বস্তরের মানুষের। কিন্তু সত্য চেতনা কোনটি? এটি নিয়ে আছে ব্যাপক বিবাদ। বিবাদের সূত্রপাত ধর্মকেন্দ্রিক। মুক্তিযুদ্ধে দুই শ্রেণির মানুষের সবচেয়ে বেশি অবদান। ১. মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্বদানকারী। ২. সাধারণ জনতা, যারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যেভাবেই ধরা হোক বা বলা হোক দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষের সংখ্যাই বেশি। প্রথম শ্রেণির নেতা-নেত্রী সংখ্যা দ্বিতীয় শ্রেণির তুলনায় অতি নগণ্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ক বিতর্কের মূল সমস্যা এখানেই। কারণ নৃতাত্বিকভাবে এদেশের মানুষ ধর্মভীরু। ১৯৭১ সালে নাস্তিক তো তেমন ছিলই না। বরং সাম্যবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের সংখ্যাও ছিল নেহায়েত নগণ্য। ২-৫ জন যা-ও ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন তারা মূলত এলিট শ্রেণির; যাদের সাথে সমাজের সাধারণ মানুষের তেমন সম্পর্ক ও সখ্যতা ছিল না। যে লাখ লাখ মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দিলেন, তাদের মধ্যে হাতে গোনা কিছু নাস্তিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যতীত সবাই ছিলেন যার যার ধর্মে চূড়ান্ত বিশ্বাসী। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ এর সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ নামক বিষবাষ্প যে আমদানি করা হলো, তা কোনোক্রমেই কোটি কোটি সাধারণ বীর মুক্তিযুদ্ধার অন্তস্থ চাওয়া ছিল না। অথচ তাদের প্রত্যাশা বা চাওয়ার কোনো মূল্যায়ন করা হলো না। এখানেই মুক্তিযুদ্ধের মূল স্টেকদের ছেঁটে ফেলা হলো। সংবিধানকে বলপূর্বক নাস্তিক্য ও ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের কল্যাণে নিয়োজিত করলেন, শেখ মুজিবুর রহমান। সদ্য স্বাধীন দেশ প্রকৃত মুক্তির পথ হারালো। মুক্তস্বাধীন সত্তা ত্যাগ করে ভারতীয় গোলামির জিঞ্জির পরলো।    

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই কোটি কোটি মুক্তিযোদ্ধার বিশ্বাসবিরোধী ও আদর্শ পরিপন্থী এই চেতনাকে তাদের রাজনৈতিক আদর্শের মূল ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে আসছে। যার ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণের প্রত্যাশা পূরণ তো করতেই পারেনি, তদুপরি জনবিরোধী হিসেবে আজ স্পষ্ট চিহ্নিত। আমজনতার মন ও মনন এবং ধর্মীয় বিশ্বাসকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজস্ব কল্পনাপ্রসূত বিধিবিধানকে চাপিয়ে দিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসকে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ।


বিজ্ঞাপন


যদিও অনেকেই বলতে চান- আওয়ামী লীগ ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত এ দেশের মানুষের চেতনার সাথে সমান্তরালে থেকে দেশ শাসন করেছে। কথাটি কিছুমাত্র সত্য নয়। বরং দিল্লিদাসি ভারতপ্রেমী হওয়ার ক্ষেত্রে অতুলনীয় ছিল বরাবরই। ১৯৯৬-২০০১ ব্যতীত সকল আমলে আওয়ামী লীগ মূলত এবং সর্বত ফ্যাসিস্ট। আর এই ফ্যাসিবাদী শাসন মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করেই করেছে। আরও স্পষ্ট বলা যায়, চেতনার ব্যবসার মাধ্যমেই করেছে। তবে গত ১৫ বছরের অপরাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থলোপাটের অর্থনীতির কারণে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায় ভাটা পড়ে এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনাকে গদিচ্যুত করে। গণঘৃণা ও গণদ্রোহের শিকার হাসিনা পূর্বপুরুষ লক্ষ্মণ সেনের মতো পালাতে বাধ্য হন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবহার

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আওয়ামী লীগ নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেদের দাবি করে এসেছে। কিছু দেশি বিদেশি গণমাধ্যম এই বয়ানের সপক্ষে চেতনার সুদাসল বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের মানুষের দেশ ও ধর্ম সম্পর্কে মূল বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত করার প্রবল প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ নামীয় ফ্যাসিস্ট দানব দলটি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্রের ভিত্তির ওপর রাজনৈতিক প্রচারণা চালিয়ে এসেছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে সংহত করতে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনার ব্যবহার করে এসেছে, যুগ যুগ ধরে। তাই চেতনা ব্যবসা মূলত গণমানুষের কাছে নেতিবাচক হিসেবে পরিগণিত।

Julay_2


বিজ্ঞাপন


২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ও মুক্তিযুদ্ধের কর্তৃত্ববাদী বয়াননির্ভর কথিত ‘চেতনা’কে সামনে রেখে ভোটে জয়লাভ করে বলে দাবি করে। প্রকৃত বাস্তবতা ভিন্ন। সেই নির্বাচনকে সত্যিকার মডেল বলা যাবে কি না-তা নিয়ে বিতর্কের যথেষ্ট অবকাশ আছে। চেতনা নামীয় এই বিশেষ ব্যবসার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবের হত্যার বিচার এবং তথাকথিত রাজাকারদের বিচারের নামে ফ্যাসিস্ট লীগ বিচারিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সকলেই বিশ্বাস করে। সময়ের সাথে সাথে এই চেতনা ব্যবসা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ উঠতে থাকে এবং দেশের মানুষ কথিত চেতনার বিরোধিতায় নামে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনৈতিক পুঁজি

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আদর্শগত জায়গায় রাখেনি, বরং এটিকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে অতিনিকৃষ্টভাবে ব্যবহার করেছে। বিভিন্ন সময়ে বিরোধী দলগুলোকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী আখ্যা দিয়ে দমন করা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কঠিন করে তোলা হয়েছে। কার্যত বিরোধী রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের অরিন্দম বীর ও স্বাধীনতার মহান ঘোষক বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্র নায়ক জিয়াউর রহমানকেও রাজাকার বলতে সামান্যতম দ্বিধাও করেনি দিল্লির দালাল পলাতক খুনি হাসিনা। দিল্লির স্বার্থকে বাংলাদেশের স্বার্থ বানাতে গিয়ে হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নানাবিধ কল্পিত ও পরিকল্পিত দোষারোপ করেছে এবং এই সমস্ত অপকর্ম ও অপবাদ আরোপের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের কথিত চেতনার সবিশেষ আশ্রয় নিয়েছে। এসব কাজ হাসিনা একবারে ট্রেনড টাউটের মতোই করেছে। অথচ ২০১৪-এর বিনা ভোট ও ২০১৮ সালের নিশি ভোটের নির্বাচনে দেশে বিদেশে কুখ্যাতি অর্জন ও বিতর্কিত হলেও, বিরোধী দলকে দমন করা এবং একদলীয় শাসন কায়েম করতে বার বার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহারের কারণে মুক্তিযুদ্ধই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসার ধসের কারণ

১. রাজনৈতিক অবিশ্বাস ও একদলীয় শাসনের অভিযোগ: আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই বিরোধী দলগুলোকে কোণঠাসা করার নীতি গ্রহণ করেছে। একদলীয় শাসনের অভিযোগ, বিরোধী মত দমনের সংস্কৃতি এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভাবের কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে একটি অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

২. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি: আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনকালে দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বজনপ্রীতি, লুটপাট, ব্যাংক কেলেঙ্কারি, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি এবং সরকারি অর্থের অপচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে তীব্রক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। জনগণ মনে করে, দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও বাস্তবে এটি কেবল ক্ষমতায় থাকার একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

৩. তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে অতীতের চেয়ে ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সম্মান করলেও বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে এটি কেবল ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার একটি উপায় হিসেবে দেখছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিকল্প গণমাধ্যমের বিস্তারের কারণে তরুণরা এখন তথ্য যাচাই করতে পারছে, যা আওয়ামী লীগের নিজস্বার্থে প্রচলিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চেতনার প্রচারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

৪. বৈদেশিক কূটনৈতিক চাপ: ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন, অর্থপাচার, মানবতাবিরোধী অপরাধ, বিচারিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সাংবাদিক নির্যাতন এবং সর্বোপরি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার চরম সংকোচনের ফলে বিদেশি কূটনৈতিক মহল আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন বন্ধ করে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বিতর্কিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

22

৫. অর্থনৈতিক সংকট ও জনমনে অসন্তোষ: করোনাভাইরাস মহামারির পর অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, বৈদেশিক ঋণের চাপ এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রেও সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বলে জনগণের মধ্যে হতাশা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কোনো সমস্যা হলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সরকারের এসব ব্যর্থতা ঢেকে রাখার বারংবার চেষ্টা করায় ‘চেতনা’ ব্যবসা গুরুত্ব হারায়।

৬. ২৪-এর অভ্যুত্থান: সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সাধারণ ছাত্র জনতার ওপর পৈশাচিক নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লংঘন চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছায়। নিরস্ত্র ছাত্র জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করায় দেশের মানুষ প্রবল রোষে ফুঁসে ওঠে। পলাতক হাসিনা রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে দুই হাজারের অধিক হত্যা এবং ৪০ হাজারেরও অধিক মারাত্মক আহত করে। নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-জনতা হত্যা করে লাশ গুম ও পুড়িয়ে ফেলার মতো নিকৃষ্টতম কাজে নিয়োজিত হয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরেরা। নতুন প্রজন্ম মনে করে এটি চেতনা ব্যবসার কুফল। যে কারণে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতা স্লোগান দেয়- ‘তুমি কে? আমি কে?; রাজাকার, রাজাকার। কে বলেছে? কে বলেছে/ স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’। এই স্লোগান স্পষ্টত চেতনা ব্যবসার প্রতি সর্বস্তরের প্রতিবাদ।

চেতনা ব্যবসার ভবিষ্যৎ

বিএনপি ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শে 'বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ' প্রাধান্য পায়, যা মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত চেতনার সঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে দেশপ্রেমিক শক্তিকে পুনর্বাসন এবং সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের মূলভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে আসছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ চিন্তার গুণগত পার্থক্য বিদ্যমান। সকলকে নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়াই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। বহির্বিশ্বে শুধু একটি দেশের সাথেই সম্পর্ক রক্ষা চেতনা নয় বরং সকলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখাই প্রকৃত দেশপ্রেম। কিন্তু তা না করে আওয়ামী লীগ নামীয় স্বেচ্ছায় পলাতক দলটি দিল্লির দালালিকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই কায়দায় যদি বিএনপিও চেতনার ফেরিওয়ালা হওয়ার চেষ্টা করে তাহলে জনচ্যুত হবে। তাহলে গণপ্রত্যাখ্যান আসন্ন। যেসমস্ত দেশের স্বাধীনতার বয়স ১০০-২০০ বছর হয়েছে সেসব দেশের নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যেমনভাবে চর্চিত আমাদের দেশেও ততটুকুন প্রয়োজন। চেতনার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবসা আর চলবে না। তাই বিএনপির উচিত নতুন রাজনৈতিক কৌশল ও ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি করা। বাংলাদেশের জন্য চিরশত্রু ভারতবিরোধী রাজনীতি সময়ের দাবি। ভারতমুখি রজানীতি করলে ভবিষ্যতে আবারও পলায়ন প্রয়োজন হতেও পারে। অতএব, চেতনার ফেরিওয়ালা নয়; বরং বিএনপি’র কাছে জনপ্রত্যাশ্যার আলোকে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যুগোপযোগী আধুনিক রাজনীতিই কাম্য।

লেখক: কলামিস্ট

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন