শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

স্ট্রোক: প্রতিরোধ, সচেতনতা ও আধুনিক চিকিৎসা

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৬ এএম

শেয়ার করুন:

স্ট্রোক: প্রতিরোধ, সচেতনতা ও আধুনিক চিকিৎসা

স্ট্রোক একটি ঘাতক ব্যাধি। প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মারা যান অর্ধ কোটি মানুষ আর অর্ধ কোটি পঙুত্ব বরণ করেন। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এটি। মারা যাওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ আমাদের মতো দেশে ঘটে। দিন দিন স্ট্রোক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার প্রায় ৮০ গুণ বেড়ে যাবে। বাংলাদেশেও এ হার কিন্তু কম নয়। গবেষণায় দেখা গেছে দেশে প্রতি ১ হাজার জনে প্রায় ১২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ঘাতক এ ব্যাধি থেকে বেঁচে থাকতে সচেতনতার বিকল্প নেই।


বিজ্ঞাপন


স্ট্রোক কী?

স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি অসুখ। মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ এটি স্ট্রোক দুই ধরনের: ১. ইসকেমিক স্ট্রোক ২. হেমোরেজিক স্ট্রোক।

ইসকেমিক স্ট্রোক- মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাধলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট হয়ে যায়। শুরুতে কোষগুলো রক্ত চলাচল কমে গেলেও বেঁচে থাকতে পারে। একটা নিদিষ্ট সময় পর কোষগুলো মারা যায়। একে বলে কোর। কোরের চার পাশে মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশেও রক্ত কমে যায়। একে বলে প্যানামব্রা। যদি প্যানামব্রা অংশে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা যায় তাহলে স্ট্রোকের ভয়াবহতা অনেকটা কমানো যায়।

হেমোরেজিক স্ট্রোক- মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিড়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।


বিজ্ঞাপন


কারণ কী?

সম্প্রতি ল্যানসেট জার্নালে এক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের ৩২টি দেশের মানুষ্কে নিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। এতে বলা হয়েছে মাত্র ১০টি কারণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ৯০ ভাগ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়। তাদের মতে এ দশটি হলো-

১. উচ্চ রক্তচাপ

২. ডায়াবেটিস

৩. রক্তে কোলস্টেরলের আধিক্য

৪. স্থুলতা

৫. ধুমপান

৬. মদপান

৭. হার্টের রোগ

৮. শারীরিক পরিশ্রম না করা

৯. মানসিক আবসাদ

১০. সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা

এ কারণগুলো কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। আরও কিছু কারণ আছে যেগুলোর জন্যও স্ট্রোক হতে পারে। যেমন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে, পুরুষদের ঝুঁকি বেশি, বংশে কাছের আত্মীয়দের স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। রক্তনালীর সমস্যা যেমন রক্তনালীতে ফোস্কা বা এনিউরিজম বা এভিএম বা রক্তনালী অস্বাভাবিক কমিউনিকেশনের জন্যও স্ট্রোক হতে পারে।

স্ট্রোক কী হার্টের অসুখ

কেউ স্ট্রোক করেছেন শুনলেই আমরা মরি কি পরি করে ছুটে যাই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে বা হার্টের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে। জ্যামের এ শহরে হাসপাতালে নিতেই ৩-৪ ঘণ্টা কেটে যায়। কিন্তু স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা পেতে হলে স্ট্রোকের চিকিৎসা হয় এমন হাসপাতালে যেতে হবে স্ট্রোকের সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে। হার্ট অ্যাটাক মনে করে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

দুটো রোগের উপসর্গেও কিন্তু আছে বিস্তর পার্থক্য। হার্ট বুকের মধ্যে থাকে। তাই হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে তীব্র ব্যথা করে, মনে হয় বুকে পাথর চেপে বসে আছে। এ ব্যথা হাতে বা গলায় যেতে পারে। ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি লাগা বা বমি হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

স্ট্রোকের উপসর্গ হলো শরীরের কোনো এক পাশ অবস হয়ে যাওয়া বা ঝিমঝিম করা, মুখ বেঁকে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা বা একটা জিনিস দুটো দেখা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিক আচরণ করা, ভারসাম্যহীনতা। স্ট্রোকেও ব্যথা হতে পারে। হার্ট বুকে থাকে বলে বুকে ব্যথা হয় তেমনি স্ট্রোকে তীব্র মাথা ব্যথা হতে পারে।

এ দুটো রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন ভিন্ন তেমন চিকিৎসাও ভিন্ন। হার্ট অ্যাটাকে ইসিজি ও রক্তে ট্রোপোনিন-আই পরীক্ষা করতে হয় আর স্ট্রোকে শুরুতেই সিটিস্ক্যান। স্ট্রোকে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে। স্ট্রোকের চিকিৎসায় সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে আসলে আইভি থ্রোম্বোলাইসিস করে রোগীকে সুস্থ করা যায়। এ সময় পার হলে ওষুধ ও রিহ্যাবিলিটেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কাজেই হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক একই রোগ নয়। মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ স্ট্রোক। স্ট্রোক হলে নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হোন।

স্ট্রোকের আছে চিকিৎসা

হার্ট অ্যাটাক হলে আমরা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেই। হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে রক্ত জমে গেলে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে হৃদপিণ্ডের মাংসপেশি নষ্ট হয়ে যায়। একেই বলে হার্ট অ্যাটাক। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসক হার্টের রক্তনালীতে জমাট বাধা রক্ত গলিয়ে ফেলতে এক ধরনের ওষুধ শিরাপথে দিয়ে থাকেন। একে বলে স্ট্রেপ্টোটোকাইনেজ।

একইভাবে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাধলে জমাট বাধা রক্ত গলিয়ে ফেলতে এক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। মস্তিষ্কের স্ট্রোকে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তাকে বলে এল্টিপ্লেজ। রক্ত জমে যাদের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়াকে ইস্কেমিক স্ট্রোক বলে। তাদেরকে এল্টিপ্লেজ দেওয়া যায়। আবার সব ইস্কেমিক স্ট্রোক রোগীকে এ চিকিৎসা দেওয়া যায় না।

কাদের দেওয়া যায়?

উত্তরে আমরা বলি- ১. যাদের ইস্কেমিক স্ট্রোক হয় এবং উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে যদি হাসপাতালে আসেন তাহলে দেওয়া যায়।

২. অনেকে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক হয়। তাদের তো সময় মাপা সম্ভব হয় না। তাদের ক্ষেত্রে এমআরআই পরীক্ষা করে দেখতে হয় এ চিকিৎসা দেওয়া যাবে কিনা। যদি এমআরআই পরীক্ষা সন্তোষজনক হয় তাহলে এ চিকিৎসা দেওয়া যায়।

৩. বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।

১৯৯৬ সালে এফডিএ স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা হিসেবে এল্টিপ্লেজের অনুমোদন দেয়। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকের চিকিৎসা হিসেবে আইভি থ্রোম্বলাইসিস ব্যবহার করা হচ্ছে। আধুনিক এ চিকিৎসার ফলাফল কিন্তু বেশ আশাব্যঞ্জক।

গবেষণায় দেখা গেছে এ চিকিৎসা পাওয়া রোগীদের ৭০ শতাংশের উন্নতি হয়। আর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যাদের আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা হয়েছে তিন মাস পর এদের ৫০ শতাংশ ব্যক্তি নিজের কাজ নিজেই করতে পারেন, ১৫ শতাংশ অন্যের কিছু সাহায্য দরকার হয়, ১৫ শতাংশ অন্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হন ও ২০ শতাংশ মারা যান। কাজেই প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যক্তি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। এ সংখ্যা কিন্তু অনেক বেশি। স্ট্রোকের চিকিৎসা নেই তা কিন্তু আর ঠিক নয়। স্ট্রোক হলেই যে অন্যের ওপর বোঝা হবেন তাও ঠিক না।

মেকানিক্যাল থ্রোম্বেক্টমি- স্ট্রোক অত্যাধুনিক চিকিৎসা

ইস্কেমিক স্ট্রোকের রোগী সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে এলে তাদের এল্টিপ্লেজ দিয়ে আইভি থ্রম্বোলাইসিস করা যায়। কিন্তু এ সময়ের পর এলে কি আর চিকিৎসা নেই? না, চিকিৎসা আছে। স্ট্রোকের ৬ ঘণ্টার মধ্যে এলে অত্যাধুনিক চিকিৎসা করা সম্ভব। এ-র নাম হলো মেকানিক্যাল থ্রোম্বেক্টমি। রোগীকে ক্যাথল্যাবে নিয়ে গিয়ে হার্টের এনজিওগ্রামের মতো ব্রেনের এনজিওগ্রাম করা হয়। যদি তাতে দেখা যায় মস্তিষ্কের মোটা রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধেছে তাহলে একটি বিশেষ  সাহায্যে জমাটবাধা রক্ত টেনে বের করে আনা হয়। ফলে বন্ধ রক্তনালী খুলে যায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। শতকরা ৭০ ভাগ রোগী এতে সুস্থ হয়ে যান। আমাদের দেশেও এ চিকিৎসা অল্প-বিস্তর হচ্ছে।
বারবার স্ট্রোক প্রতিরোধে রক্তনালীতে স্ট্যান্টিং

অনেকে দেখা যায় একাধিকবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের রক্তনালী সরু হয়ে থাকতে পারে। হার্টে যেমন স্ট্যান্ট বসিয়ে সরু রক্তনালী মোটা করা হয়। মস্তিষ্কের সরু রক্তনালীতেও স্ট্যান্ট বসিয়ে মোটা করার দরকার হয়। এজন্য স্ট্রোকের পর অবশ্যই রক্তনালী সরু আছে কিনা তা জানার জন্য পরীক্ষা যেমন ডুপ্লেক্স স্টাডি অব নেক ভ্যাসেল বা সিটিএ অব নেক ভ্যাসেল করতে হবে। দেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে এ চিকিৎসা বেশ প্রচলিত।

স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

শতকরা ৯০ ভাগ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়। স্ট্রোকের মূল কারণগুলো প্রতিরোধ করতে পারলে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়।
ধুমপান ও মদপান পরিহার করুন: গবেষণায় দেখা গেছে, ধুমপান করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। ধুমপানের ফলে রক্তনালীতে চর্বি জমা হয়ে রক্তনালী বন্ধ করে দেয়। ফলে মস্তিষ্কে পরিমিত রক্ত পৌঁছতে পারে না।

সিগারেটের নিকোটিন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, রক্তে কার্বন-ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় ও রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে রক্তপিন্ড তৈরীতে ভূমিকা পালন করে। যেকোনো বয়সেই ধুমপান ত্যাগ করা হোক না কেন তা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

নিয়ন্ত্রণ করুন উচ্চ রক্তচাপ

রক্তচাপ স্বাভাবিকের মধ্যে রাখুন। এজন্য অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন।

হার্টের রোগের চিকিৎসা নিন: হার্ট অ্যাটাক, অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন, হার্ট বড় হয়ে গেলে, ভাল্বের সমস্যা ইত্যাদি কারণে রক্তজমাট বেঁধে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। তাই এ রোগগুলোর চিকিৎসা করান। রক্তজমাট বাধা প্রতিরোধে আপনাকে অ্যাসপিরিন খেতে হতে পারে। এ ব্যাপারে আপনার চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রোকের সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে মস্তিষ্কে কোষ বেশি পরিমাণে ধ্বংস হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালীতে চর্বি জমে যায়। ফলে রক্তনালী সরু হয়ে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণমতো খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন আর শৃঙ্খলা মেনে চলুন, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান ও নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

পুষ্টিকর খাবার খান: প্রচুর শাকসবজি  ও ফলমূল খান। প্রতিদিনের খাবারে পাঁচ ভাগের একভাগ ফলমূল ও শাকসবজি খান। রেড মিট যেমন, গরু, ছাগল, ভেড়ার মাংস খাবেন না। চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। এতে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যেটা ধমনীতে চর্বির আস্তরণ পড়তে সহায়তা করে। লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। লবণ খাবেন না। আঁশযুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খান। কমিয়ে ফেলুন শরীরের অতিরিক্ত ওজন। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। এতে শরীরে মেদ জমবে। খাবার খান শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে মিল রেখে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি, সয়াবিন তেল, মাছের যকৃত খান।
ব্যায়াম করুন: গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ ব্যায়াম করে তাদের রক্তচাপ, রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। হাঁটা ভালো ব্যায়াম। হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ মাইল হাঁটুন। এছাড়াও সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, নাচা, টেনিস, গলফ খেলতে পারেন।

ব্যায়ামের সময় বুকে ব্যথা, মাথা ঝিম ঝিম ও শ্বাসকষ্ট হলে ব্যায়াম বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মানসিক চাপ কমান: রাগ কমান, কমিয়ে ফেলুন মানসিক চাপ। জোর করে হলেও হাসুন প্রাণখুলে। মেডিটেশন করতে পারেন। এতে কমবে মানসিক চাপ, বাড়বে আত্মবিশ্বাস।

রক্তে কোলস্টেরল কমিয়ে ফেলুন: রক্তে কোলস্টেরল বেশি হলে রক্তনালীতে চর্বি জমে রক্তনালী বন্ধ হয়। নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোলস্টেরলের মাত্রা। তাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার যেমন গরু বা খাসি বা পাতিহাঁস, শুকুরের মাংস, চিজ, বিভিন্ন ধরনের কেক, আইসক্রিম, ইয়োগাট, কনডেন্সড মিল্ক ও কোলস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার ডিমের কুসুম, চুপড়ি আলু, বিভিন্ন প্রাণি মস্তিষ্ক ও যকৃত, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। যদি রক্তে কোলস্টেরল না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শমত ওষুধ খেতে হবে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল: পিল রক্তকে ঘন ও জমাট বেঁধে ফেলতে পারে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। পিল সেবনের আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

লেখক: স্ট্রোক ও ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ

সহকারী অধ্যাপক

ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগ
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর