বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

খাদ্য নিরাপত্তায় ব্রি: চলমান কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা

ড. এম আব্দুল মোমিন
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

খাদ্য নিরাপত্তায় ব্রি: চলমান কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১ অক্টোবর, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৫৩ বছরে এদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার অতন্দ্র প্রহরী ব্রি সম্প্রতি জাত উদ্ভাবনে সেঞ্চুরির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং মওসুমের উপযোগী ৮টি হাইব্রিডসহ ১০৭টি উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ধানের জাত এবং মাটি, পানি, সার, পোকা ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, কৃষি যন্ত্র ও ধান ভিত্তিক শস্য বিন্যাস বিষয়ে ২৫০ এর অধিক উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। ফলশ্রুতিতে বিগত ৫০ বছরে দেশের আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে তিনগুণেরও বেশি। ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ধানের জাত ও চাষাবাদ পদ্ধতি ও প্যাকেজ কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশে চালের উৎপাদন ১৯৭০-১৯৭১ সালে ১ কোটি টন থেকে বেড়ে ২০২২-২০২৩ সালে প্রায় ৪ কোটি ১৩ লক্ষ টনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশের শতকরা ৮০ (আশি) ভাগ ধানের জমিতে ব্রি ধান চাষ হয় যা থেকে আসে দেশের মোট উৎপাদনের শতকরা ৯১ (একানব্বই) ভাগ।  বর্তমানে দেশে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত আছে। অথচ ১৯৭০-৭১ সালে দেশের সাত কোটি বার লক্ষ জনসংখ্যার বিপরীতে চালের উৎপাদন ছিল এক কোটি ১০ লক্ষ মেট্রিক টন মাত্র। এমনকি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও এই অবস্থার বিশেষ একটা উন্নতি হয়নি। খাদ্যের জন্য আমরা পরনির্ভরশীল ছিলাম।

ক্রমবর্ধামান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে দেশে আধুনিক, উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ধানের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য মানসম্মত গবেষণার গুরুত্ব অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে সংসদীয় আইন পাসরে মাধ্যমে বাংলাদেশে ধান গবেষণা ইনস্টটিউিটের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন এবং সেই সাথে শুরু হয় ধানের ওপর নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য, দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে অবচ্ছিদ্যে অংশ ধান নিয়ে আনুষ্ঠানিক ও উন্নততর গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের এক নতুন গৌরবময় অধ্যায় সূচিত হয়। পরবর্তীতে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত ‘দিন বদলের সরকার’ গঠিত হয়। সরকার সার এবং জ্বালানী তেলের দাম কমানো, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি, কৃষিতে প্রণোদনা প্রদান, সার বিতরণ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন, দেশে হাইব্রিড ধানের প্রবর্তন, ব্রি ধান২৮, ২৯ এর ব্যাপক সম্প্রসারণ, ধানের উন্নত মানের বীজ সরবরাহ, সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থাসহ ইত্যাদি নানামুখী কৃষকবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফলে ১৯৯৯ সালে দেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রদান করা হয় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক মর্যাদাপূর্ণ সেরেস পদক।


বিজ্ঞাপন


কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট বিভিন্ন অভিঘাত সহনশীল ৩২টি ধানের জাত ও লাগসই উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে আসছে। এর মধ্যে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ১২টি, খরা সহিষ্ণু ৩টি, জলমগ্নতা ও জলাবদ্ধতা সহনশীল ৪টি এবং ৪টি ঠাণ্ডা সহনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন ব্রি বিজ্ঞানীরা। এছাড়া জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ ৭টি ও প্রিমিয়াম গুণ সম্পন্ন রফতানিযোগ্য ১৩টি, এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধান, ডায়াবেটিক ধান এবং প্রো-ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইসের জাত উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করা হয়েছে। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ ধানের জাত উদ্ভাবনে বিশ্বের সর্বাধুনিক বায়োফর্টিফিকেশন ও জিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ব্রি উদ্ভাবিত লবণাক্ত সহনশীল জাতগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে লবণাক্ত এলাকার ৩৫ ভাগ এলাকা চাষের আওতায় এসেছে, উৎপাদন বেড়েছে ১২ ভাগ। জলমগ্নতা সহনশীল জাতগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে জলমগ্ন এলাকার ২৬ ভাগ এলাকা ধান চাষের আওতায় এসেছে, যেখান থেকে উৎপাদন বেড়েছে ৯ ভাগ। খরা সহিষ্ণু জাতগুলো খরা প্রবণ এলাকায় সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১২% আবাদ এলাকা বৃদ্ধি পেয়েছে যেখান থেকে উৎপাদন বেড়েছে ৮ ভাগ। সর্বোপরি ব্রি উদ্ভাবিত বিভিন্ন অভিঘাতসহনশীল ও অনুকূল পরিবেশের উপযোগী জাতগুলোর আবাদ সম্প্রসারণের ফলে ২০০৯ সাল থেকে ধানের উৎপাদন বছরে গড়ে ছয় লক্ষ টন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত আছে। অথচ আবাদি জমির পরিমাণ প্রতি বছর প্রায় এক শতাংশ হারে কমছে। ২০২২-২৩ সালে এসে প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে চার কোটি ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন। এই ধারাবাহিকতায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ইতোমধ্যে বিদেশে চাল রফতানি করা সম্ভব হয়েছে। অতীতের তীব্র খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ, কৃষিবান্ধব সরকারের সহায়তায় ব্রি উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ধাপে ধাপে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।

এখানে বলে রাখা দরকার উফশী ধানের প্রসার না হলে খাদ্য কিনতে বাংলাদেশকে বর্তমানের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হতো। অভ্যন্তরীণ আয়ের বেশির ভাগ অংশ ব্যয় হতো খাদ্য আমদানিতে। ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ধানের জাত ও চাষাবাদ প্যাকেজ ব্যবহারের ফলে উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। ফলে অভ্যন্তরীণ আয় থেকেই বর্তমানে বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণে প্রতি এক টাকা বিনিয়োগ থেকে উৎপাদন বৃদ্ধি ও সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে ৫৬ টাকা মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। দেশের অন্নদাতা এই প্রতিষ্ঠানটি ও এর বিজ্ঞানীরা খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ অবদানের জন্য এখন পর্যন্ত স্বাধীনতা পুরস্কারসহ ২৭টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। খাদ্য নিরাপত্তায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ পর্যন্ত ব্রি পাঁচবার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক- স্বাধীনতা পদক ১৯৭৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০১৩ ও ২০১৮ অর্জন করেছেন।

চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি: ব্রির এ প্রযুক্তিসমূহ কৃষি সম্প্রসারণ ও অন্যান্য মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। প্রযুক্তি সম্প্রসারণে পূর্বের নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পাশাপাশি গোপালগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে আরও দুইটি নতুন আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশ রাইস নলেজ ব্যাংক, রাইস ডক্টর এবং মোবাইল আ্যাপস্ তৈরির মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তি সহজিকরণ করা হয়েছে। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে বীজ সহায়তা, প্রদর্শনী স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতি বছর ১৫০ টনের অধিক ব্রিডার বীজ উৎপাদন এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বীজ উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। ব্রি ইতোমধ্যে Rice vision 2050 and beyond প্রণয়ন করেছে; যাতে ২০৩০, ২০৪১ এবং ২০৫০ সালে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে চালের উৎপাদন প্রক্ষেপণ করা হয়েছে এবং তা অর্জনে ব্রি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে Doubling rice productivity in Bangladesh by 2030 শীর্ষক কৌশলপত্র প্রস্তুত ও বাস্তবায়নের কাজ চলমান আছে। থিওরি অব পপুলেশন ইমপ্রুভমেন্টের মাধ্যমে  ফলন সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং কার্যক্রম বর্তমানে চলমান আছে। টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণে প্রধান প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রম বর্ধমান জনসংখ্যা, ক্রম হ্রাসমান প্রাকৃতিক সম্পদ (যেমন-কৃষি জমি, পানি, কৃষি শ্রমিক এবং মাটির উর্বরতা) এবং বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তন। দেশে ধানের জমির পরিমাণ প্রতিবছর ০.৪০% হারে কমে যাবার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্রি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিবছর ৪৪ কেজি/হেক্টর হারে জেনেটিক গেইন বাড়ানো, কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ১% হারে ফলন পার্থক্য ও জাতগুলোর সম্প্রসারণে দীর্ঘসূত্রিতা কমানো, আউশের কভারেজ বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা এবং বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকায় নদীর পানি ব্যবহারের মাধ্যমে ধানের আবাদ এলাকা বৃদ্ধি করে ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা পূরণ করেও ২০৫০ সালে ৪৮ লক্ষ টন উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ এ কৃষি উন্নয়নে ন্যানোপ্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জাত উদ্ভাবন, রোগ-বালাই দমন, সার ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। ধানের উৎপাদন ও রোগ বালাই দমনে ন্যানো ফার্টিলাইজার ও ন্যানো পেস্টিসাইড এর প্রভাব নিয়ে ব্রিতে গবেষণা শুরু হয়েছে। এছাড়া বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে Precision Agriculture নিয়েও ব্রিতে গবেষণা চলছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে, প্রচলিত প্রজনন পদ্ধতির পাশাপাশি ব্রি বর্তমানে জোর দিয়েছে সর্বাধুনিক জীনতত্ত্ব ও জীব প্রযুক্তি গবেষণায়। বর্তমানে ব্রির গবেষকরা ধানের ফলন আরও বাড়ানোর জন্য সি৩ ধান কে সি৪ ধানে রূপান্তরে গবেষণা করছেন। যাতে ফলন বর্তমানের চেয়ে ৩০-৫০ ভাগ বেশি হবে। এই ধান উৎপাদনে ৩০ ভাগ কম নাইট্রোজেন, এবং ৪০ ভাগ কম পানি লাগবে। সি৪ ধান উচ্চ তাপমাত্রা ও শুষ্ক পরিবেশে অধিকতর অভিযোজন ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবে, বিধায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং সীমাবদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদ সত্ত্বেও ধানের উৎপাদনশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হবে, যা ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।


বিজ্ঞাপন


অধিক ফলনশীল, বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে চাষের উপযোগী, বৈরী পরিবেশ সহিষ্ণু (যেমন- বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, জোয়ারভাটা, জলমগ্নতা, নিম্ন ও উচ্চ তাপমাত্রা) অধিক অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন, অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং ক্ষতিকর পোকামাকড়-রোগবালাই প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনে বিদ্যমান প্রযুক্তির পাশাপাশি অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন মলিকুলার কৌশল যেমন- মলিকুলার মার্কারের ব্যবহার, জিনোম এডিটিং (CRISPR-Cas9) এর মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে তাতে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা আরও টেকসই হবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি সমলয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি জনপ্রিয় করা ও কৃষিতে শিক্ষিত যুবকদের আগ্রহী করার মাধ্যমে কৃষিতে রূপান্তরের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।

লেখক: ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা, প্রশিক্ষণ বিভাগ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর