কপোতাক্ষ নদের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলার অন্তর্গত মহেশপুর উপজেলা। দেশ ভাগের আগে এটি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বনগাঁ মহকুমার অংশ ছিল। মহেশপুরে প্রাচীন সময় থেকেই বিপুলসংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস। মূলত দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে সেন বংশীয় রাজা এখানে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। যেটিকে কেন্দ্র করে এখানে প্রভাবশালী হিন্দুরা বসবাস শুরু করেন।
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত জমিদার বাড়িতে সেসময় নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। মহেশপুর শহরে এখনো ধ্বংসপ্রাপ্ত জমিদার বাড়ি ও মন্দির দেখা যায়। ব্রিটিশ সরকার ১৮৬৯ সালে মহেশপুরে পৌরসভা স্থাপন করে যেটি বাংলাদেশে প্রথম দিকের পৌরসভাগুলোর একটি।
বিজ্ঞাপন
মহেশপুর হাইস্কুল এ অঞ্চলের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ ভারত ও পাকিস্তান আমলে এখানকার অনেক মানুষ কলকাতায় পড়ালেখা করেছেন। কলকাতা শহর নিকটবর্তী হওয়ার বহু আগে থেকে মহেশপুর অঞ্চলের মানুষ ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা নিতে নিয়মিত কলকাতা যাতায়াত করতেন। ফলে অনেক আগে থেকেই এখানে নগরকেন্দ্রিক আবহাওয়া বিরাজমান। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, রাজনীতি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, কৃষি পণ্য উৎপাদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহেশপুরের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
ইতিহাস ঐতিহ্যে মহেশপুর খ্যাতি ছড়ালেও শহর কেন্দ্রিক পরিকল্পিত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো না। সত্যতা নিরূপণে শহরের ভিতরের সরু ও ভাঙাচোরা রাস্তা, অনুন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যত্রতত্র বিল্ডিং নির্মাণ, অপরিকল্পিত নগরায়ন, বিনোদন কেন্দ্রের অভাব, অনুন্নত যোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থা, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার না ঘটাসহ বেশ কিছু কারণ বিবেচনায় আনা যায়। ফলে এই শহর আকর্ষণ সৃষ্টি করতে পারছে না।
এতে, ৫/৬টি ইউনিয়নের মানুষ পার্শ্ববর্তী অন্য উপজেলা শহরে তাদের নিত্য দিনের প্রয়োজন মেটাতে যাতায়াত করেন। আর মোটাদাগে এই সমস্যাগুলোই শহরকে পিছনে দিচ্ছে। এই সমস্যাগুলোর মূলে রয়েছে পরিকল্পনার অভাব, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অদক্ষতা ও ভৌগোলিক কারণ। শহর কেন্দ্রিক উন্নয়নে এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি, বাজারের প্রসারতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে একগুচ্ছ মহাপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
অবকাঠামো উন্নয়ন
বিজ্ঞাপন
অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। প্রথমে, শহরের মধ্যে সরু রাস্তাগুলো বড় করে দৃষ্টিনন্দন করতে হবে। কলেজ স্ট্যান্ড থেকে যাদবপুর স্ট্যান্ড হয়ে উপজেলা পরিষদ ও নাটিমা যাবার সড়ক প্রশস্ত করতে হবে। কপোতাক্ষ ধার দিয়ে বাইপাস সড়ক এবং জলিলপুরের পাঁচমাথা থেকে চৌগাছা রোডের বাইপাস সড়কটি দুই পাশে বৃদ্ধি করে দৃষ্টিনন্দন করতে হবে।
শহরটি ছোট আবার শহরের মধ্যেই পাশাপাশি দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পুলিশ স্টেশন, অডিটোরিয়াম, ডাকবাংলো, পৌরসভা ভবন থাকায় একটা ঘিঞ্জির পরিবেশ দেখা যায়। ফলে দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শহরের পাশে হাসপাতাল রোডে বা মহিলা কলেজ রোডে নতুনভাবে সবধরনের আধুনিক সুবিধা নিয়ে নির্মাণের বিষয়টি ভাবতে হবে। এতে কোলাহলমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ পাবে শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ স্টেশনটি মডেল পুলিশ স্টেশনে রূপান্তরিত করে শহরের পাশে নতুনভাবে নির্মাণ করতে হবে। যেখানে থানা ভাবনের সাথে আবাসিক এলাকা, পুলিশ পরিচালিত বিদ্যালয়, মিনি পার্ক ও খেলার মাঠ থাকবে। এতে শহরের মধ্যে জায়গা বৃদ্ধি পাবে। মানুষ সহজেই সেবা নিতে পারবে। উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবনগুলো ভেঙে নতুন নতুন ভবন তৈরি করতে হবে। যেখানে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আবাসিক এলাকা, খেলার মাঠ, বিদ্যালয়, সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র ও গেস্ট হাউজ, দৃষ্টি নন্দন পুকুর পাড়, ওয়াক ওয়ে এবং সেবা গ্রহীতাদের জন্য বিশ্রামের জায়গা থাকবে।
মহেশপুরের যাদবপুরে স্থল বন্দর, ইপিজেড ও পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। প্রতিটি আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামের রাস্তা সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। উপজেলা শহরের পাশে রিসোর্ট, আধুনিক ডাকবাংলো ও গেস্ট হাউজ তৈরি করতে হবে। এছাড়াও আন্ত:জেলা যাতায়াতে আধুনিক টার্মিনাল ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে। শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। সড়ক বাতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে নিরাপত্তা চৌকি, ওয়াইফাই জোন ও আধুনিক পাবলিক টয়লেট তৈরি করতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শহরের দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (বালক ও বালিকা) আধুনিক বিল্ডিং নির্মাণ করে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি ও ইন্টারনেট সুবিধা, বড় খেলার মাঠ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, ডিবেট ও সামাজিক সংগঠন গড়ে সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো বেগবান করা যায়। সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মীয় বইয়ের সমাহার ঘটিয়ে জ্ঞানের আলো ছড়াতে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি গড়ে তুলতে হবে। মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও মহিলা কলেজে অনার্সের সাবজেক্ট ও দক্ষ শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সাথে হোস্টেল নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের জন্য বাস চালু, কলেজের পাশে জমি অধিগ্রহণ করে নতুন একাডেমিক ও আবাসিক ভবন তৈরি করতে হবে।
এছাড়াও লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ করে শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। দুইটি প্রতিষ্ঠানে হোস্টেল ও যাতায়াতে পরিবহনের ব্যবস্থা করলে এ অঞ্চলের মানুষ অল্প খরচে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবে। এছাড়াও শহরের ৪ থেকে ৬ কিমি এর মধ্যে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, আইটি ইনস্টিটিউট, মৎস্য ও কৃষি ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি, মৎস্য ও বাওড় গবেষণা কেন্দ্র, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করে শিক্ষা হাব তৈরি করতে হবে। এতে মানসম্মত শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
বিনোদন কেন্দ্র ও সংস্কৃতি চর্চা
মহেশপুর শহরের পাশ দিয়ে কপোতাক্ষ নদ বয়ে গেছে। নদকে ঘিরে একটি পরিকল্পনা নিতে হবে। নদের পাশে ওয়াটার পার্ক, নদের ধার দৃষ্টিনন্দন করে ওয়াক ওয়ে, মুক্ত মঞ্চ, থিয়েটার হল ও মিনি খেলার মাঠ নির্মাণ করতে হবে। যাকে বলে নদ কেন্দ্রিক বিনোদন ব্যবস্থা। তবে অবশ্যই নদ ও পরিবেশ দূষণের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
শহরে আধুনিক অডিটোরিয়াম সেন্টার তৈরি করে জিমনেসিয়াম, সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র, মিনি সিনেপ্লেক্সে, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, লেডিস ও জেন্টস সেলুন, থিয়েটার হল তৈরি করে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার ব্যবস্থা করা যায়। ধর্মীয় গবেষণা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র নির্মাণ করে মানুষের মাঝে ধর্মের মূল বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে। শহরে বাস স্ট্যান্ড ও মোড়ে মোড়ে বসার জায়গাতে মিনি লাইব্রেরি তৈরি করতে হবে যাতে যাতায়াতের অবসর সময়ে মানুষ বই পড়তে পারে।
ক্রীড়া চর্চা
মহেশপুরে বড় কোনো খেলার মাঠ নেই। ফলে এখানে একটি স্টেডিয়াম বানাতে হবে। খেলাধুলার সাথে এখানে রাজনৈতিক প্রোগ্রামও আয়োজন করা যাবে। ক্রীড়া সংস্থা তৈরি করে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করে খেলোয়াড় তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। শহরকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে ছোট ছোট খেলার মাঠ ও ওয়াক ওয়ে নির্মাণ করতে হবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প
শহরের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে আবার শহর কেন্দ্রিক মানুষের যাতায়াত বাড়বে। এতে শহরে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
ব্যবসা সম্প্রসারণ
আধুনিক চিন্তা নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি কাজ হবে পরিকল্পিত। শহরের জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে নতুন নতুন ভবন তৈরি করতে হবে। মানুষের চাহিদা বিবেচনায় পণ্য সামগ্রী রাখতে হবে। আধুনিক শপিং মল, ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও বিভিন্ন ব্রান্ডের আউটলেট খুলতে হবে। পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা জোন থাকবে। পণ্য অনুযায়ী জোন ভাগ করতে হবে।
শহরের পাশে কাঁচা বাজার ও সাপ্তাহিক বাজারের স্থান নির্ধারণ করে অবকাঠামো নির্মাণ করে দিতে হবে। মহেশপুরসহ পাশের উপজেলার মানুষ যাতে এখানে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসে সে-ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। এক কথায় বিজনেস সেন্টার হবে শহরটি। ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে আরও সরকারি বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা খুলতে হবে।
স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও কৃষি
স্বাস্থ্যের উন্নয়নে মহেশপুর উপজেলার হাসপাতালটি আধুনিকায়ন করতে হবে। বেড, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করে সব ধরনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। রাস্তা ও নদী দখল রোধ এবং বৃক্ষ রোপণ করে পরিবেশ সুস্থ রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য সবধরনের ক্ষতি হ্রাসে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
ফল, ফুল ও ওষধি গাছ রোপণের মাধ্যমে সবুজের শহরে পরিণত করতে হবে মহেশপুরকে। পরিবেশ রক্ষার্থে কপোতাক্ষ নদ ঘিরে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। শহরের পাশে ও গ্রামে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও বাজারজাত করণে আধুনিক স্মার্ট কৃষি মার্কেট নির্মাণ করতে হবে। কৃষি পণ্য সংরক্ষণে গুদাম ও হিমাগারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
যোগাযোগ ও কর্মসংস্থান
যোগাযোগ ব্যবস্থায় সড়কের সাথে রেলপথ নির্মাণ করতে হবে। উপজেলার সাথে প্রতিটি অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ করতে উদ্যোগ নিতে হবে। ট্রাফিক সমস্যা সমাধান, নির্ধারিত রুটে ভাড়ার তালিকা তৈরি, দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদে যাতায়াতে আইন প্রয়োগের সাথে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
মহেশপুর থেকে যশোর পর্যন্ত ফোর লেন সড়ক ও রেললাইন নির্মাণ করা হলে রাজধানীসহ সারা দেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এতে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এছাড়াও প্রতিটি বৃহত্তর জেলা ও বিভাগীয় শহরের সাথে যোগাযোগে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। রাতে নিরাপদ যোগাযোগে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা উন্নয়নে হাইওয়ে পুলিশ স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।
জনসচেতনতা সৃষ্টি
শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপদ জীবনের জন্য মানুষের মাঝে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। নিয়মিত শিক্ষা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় কনফারেন্স, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করতে হবে। কর্মসংস্থান মেলা ও উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, নিরাপদ যাতায়াত, পরিবেশের উন্নয়নে আলোচনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা যেতে পারে।
সরকার মহেশপুর উপজেলার উন্নয়নে একটি প্রজেক্ট হাতে নিলে উপজেলাসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবে। সামগ্রিক উন্নয়নে অংশিজনদের সুবিধা, সুষ্ঠু ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা, পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নিতে হবে। এতে মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।
লেখক: মো. শাহিন রেজা, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
এনএম

