শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ডিজিটাল নেটওয়ার্কে বদলে গেছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২২, ০৩:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ডিজিটাল নেটওয়ার্কে বদলে গেছে বাংলাদেশ

ডিজিটাল বাংলাদেশে এসেছে আমূল পরিবর্তন। ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে বলে ওয়াশিংটন টাইমসে মতামতে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তার সেই লেখার চুম্বকাংশ ঢাকামেইল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

তিন বছর পরও মহামারি কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপে ভুগছে বিশ্ব। লাখ-লাখ মৃতের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তের মিছিলে যোগ দিয়েছে অর্থনৈতিকভাবে পর্যদুস্ত সর্বশ্রান্ত মানুষ। তবে মহামারিকে মোকাবিলায় সফল ছিল কোনো কোনো দেশ, তেমনই বাংলাদেশ।


বিজ্ঞাপন


প্রযুক্তিকে আত্মীকরণের দীর্ঘমেয়াদি এবং সুদুরপ্রসারী পদক্ষেপ মহামারি উতরে যেতে সাহায্য করেছে আমাদের। অর্থনীতি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করার ফল স্বরূপ মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ছিল সফল।

২০০৯ সালে গৃহীত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ থেকে শুরু এ অগ্রযাত্রার। উদ্যোগটি গ্রহণের পর থেকেই দ্রুত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বহুমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করে।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সমগ্র দেশজুড়ে ৮ হাজার ৫০০টি ডিজিটাল সেন্টারের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অনলাইন পরিষেবা সরবরাহ করছে এ নেটওয়ার্ক।

joy
ওয়াশিংটন টাইমসে জয়ের মতামত

প্রকল্পটি গ্রহণের আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার আওতায় দেশের ৯৮ ভাগ অঞ্চল জুড়ে নিশ্চিত করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা, ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটির বেশি।

এছাড়াও, লাখ লাখ মানুষকে প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (আইসিটি) প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ১৫ লাখ শিক্ষার্থীকে। উন্নত প্রযুক্তিতে শিক্ষাদানের সুবিধার্থে ৮৬ হাজার ‘ডিজিটাল ক্লাসরুম’ তৈরি করেছে সরকার।
আধুনিকায়নে প্রযুক্তি আত্মীকরণ অর্থনীতিকে প্রসস্ত করেছে কয়েকগুন। ২০০৮ সালের ২৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি ক্ষমতা ২০২১ সালে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অংক ছুঁয়েছে।

আধুনিকায়নের এ পদক্ষেপে বাংলাদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন ফ্রিল্যান্সার সরবরাহকারী।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫০ হাজার ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তা বসবাস করেন। দেশটিতে ফেসবুক একাউন্টের সংখ্যা প্রায় ৪৩ মিলিয়ন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ উন্মোচনের পর থেকে বাংলাদেশে বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং (বিপিও) সেক্টর সমৃদ্ধ হয়েছে। বছরে প্রায় ২৪ শতাংশ হারে বাড়ছে বিপিও খাত। বছরে ৬৮ মিলিয়ন ডলার আয় রয়েছে খাতটির।

ক্রমবর্ধমান খাতের ওপর বিশেষ নজর রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। তথ্য প্রযুক্তি শিল্পকে সমর্থন করে এমন নীতি তৈরি করতে উদ্যোগী সরকার, সম্প্রতি ৬ লাখ ৫০ হাজার স্বনিযুক্ত পেশাদারদের ফ্রিল্যান্সার আইডেন্টিফিকেশন কার্ড প্রদান শুরু করেছে।

আইডেন্টিফিকেশন কার্ডের সহায়তায় উদ্যোক্তা প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাংক ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট কভারেজ প্রসারিত করতে প্রথম জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছে বাংলাদেশ। ফলস্বরূপ বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রামীণ টেলিমেডিসিন সহায়তা, ই-লার্নিং এবং ই-ব্যাংকিং সেবা।

সূত্র: ওয়াশিংটন টাইমস

টিএম/একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর