বাংলাদেশের অর্থনীতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়া ও উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পথ চলার কথা ছিল। সে লক্ষ্যে কি অর্থনীতি চালিত হচ্ছে? আমাদের সামনে রয়েছে অনেক সমস্যা তা হলো অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক। রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ, আছে সম্ভাবনাও। গত পাঁচ দশকে কখনও বেশি অর্জন কখনও কম অর্জন এভাবে আমরা চলেছি। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া। আমাদের অর্থনীতিতে বর্তমানে যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করা উচিত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মূল্যস্ফীতির উর্দ্ধমুখী অবস্থান, টাকার অবমূল্যায়ন, রিজার্ভ কমে যাওয়া, ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যা হুন্ডি ও মুদ্রাপাচার দুর্নীতি দিনদিন আয় ও সম্পদের বৈষম্য বেড়ে যাওয়া এবং কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা পাশাপাশি রয়েছে নীতির দুর্বলতা ও অথনৈতিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আমলাতান্ত্রিক প্রভাব।
এসব সমস্যাসমূহ আমরা অনায়াসে সমাধান করতে পারতাম। শুধু বাহ্যিক সমস্যা যেমন কোভিড-১৯ এর প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কারণে ঘটেনি বরং এর জন্য অব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলাহীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতা ও অনেকাংশে দায়ী।
বিজ্ঞাপন
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০২১ অর্থ বছরে আমদানী কমে গেলেও পরের বছর প্রায় দ্বিগুণ পণ্য আমদানি হয়। কিন্তু সেই সময়ে এটি নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়। যা পরবর্তীতে আরও দীর্ঘ হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অনেক দেশ ব্যবস্থা নিতে শুরু করলেও বাংলাদেশ তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ঋণের সুদ হারও বাজারে ওপরে ছেড়ে দেয়নি। বিশ্ববাজারে চড়া দামে পণ্য আমদানির সময় যেমন নিয়ন্ত্রণ হয় তেমনি বিশ্ববাজারে দাম কমার পর স্থানীয় বাজারে তা সমন্বয় হয়নি।
ডলার সংকটের কারণে একদিকে যেমন রিজার্ভ কমতে শুরু করে পাশাপাশি কড়াকড়ির কারণে কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ে রফতানি খাতে। আমাদের যে পরিমাণ রফতানি হয় সে অনুযায়ী ডলার দেশে না এসে পাচার হয়ে যাওয়া। সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে আমাদের রাজস্ব আদায়ে, যে নিন্মহার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো খাতে বিনিয়োগ করতে না পারা, বৈদেশিক খাতের আয় বিনিয়োগের ভঙ্গুর অবস্থা, রিজার্ভের খারাপ অবস্থাসহ সব সূচকেই তা নেতিবাচক হয়ে পড়ছে। তথ্য উপাত্তের ঘাটতির পাশাপাশি বাজারের ওপরে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগের ডিস্ট্রিংগুইশ ও ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বিবিসি বাংলায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি মনে করি অর্থনীতি ভুল পথে চলছে। তবে পথ যতখানি ভুল হয়েছে সেটার চেয়ে বড় কথা হলো- সেই পথ কখন ও কোথায় বাঁক নিতে হবে, কোথায় নামতে হবে সেটাকে আমরা সংস্কার বলি, সেখানে নীতি প্রণয়নে আর বাস্তবায়নে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।” আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত প্রতি মাসেই কমছে।
আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী বিজার্ভ বর্তমানে ২ হাজার ৯০ কোটি (২০.৯০ বিলিয়ন) ডলার। তবে সরকার আই.এম.এফ কে যে হিসাব দেয় সে অনুযায়ী দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ১ হাজার ৭০০ কোটি (১৭ বিলিয়ন) ডলার। অর্থনীতিবিদদের হিসাবে গত ২ বছরে প্রতি ১০০ কোটি ডলার করে রিজার্ভ কমেছে। ২০২২ সাল থেকে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে।
বিজ্ঞাপন
২০২২ সালে যেখানে মাসে প্রায় ২০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসত, সেখানে ২০২৩ সালে প্রথম তিন প্রান্তিকে প্রতি মাসে গড়ে ১৫০-১৬০ কোটি ডলার এসেছে। বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ে রফতানি আয়, রেমিটেন্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে। এই চার খাতেই আয়ের ধারা নিন্মমুখী। বাংলাদেশ ব্যাংকের বহুমুখী সিদ্ধান্তে ও সুফল আসছে না। এতে টাকার মান আরও কমে যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতিতে চাপ বাড়ছে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে হলে রফতানি আয় বাড়াতে হবে। সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বৈশ্বিক মন্দায় রফতানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি জুলাই-আগস্ট (২০২৩) কমেছে ২৮ শতাংশ ও এলসি খোলা কমেছে ১৭ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি আয় বেড়েছিল ৩৪.৩৮ শতাংশ। গত অর্থ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৬.৬৭ শতাংশ। ১ বছরের ব্যবধানে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ২৭ শতাংশ। গত অর্থ বছরের জুলাই-আগষ্টের তুলনায় চলতি অর্ধবছরের এ সময়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। রেমিটেন্সের দিকে দেখলে তা দেখা যায় এ বছর জুনে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার, জুলাইয়ে তা কমে ১৬৭ কোটি ডালার, আগস্টে তা আর ও কমে ১৬০ কোটি ডলার এসেছে। ৩ মাসের হিসাবে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৭৭ কোটি ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছিল ১৫.১২ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে এসেছিল ১২.২৭ শতাংশ। চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের একই সময়ে বাড়ার পরিবর্তে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৩.৫৬ শতাংশ। বৈদেশিক অনুদানের গতি ও নিন্মমুখী।
২০২১-২২ অর্থবছরে অনুদান বেড়ে ছিল ৫১.৭৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাইয়ে বেড়েছিল ৮৪.৩৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) একই সময়ে কমেছে ৩.১৩ শতাংশ। বৈদেশিক বিনিয়োগ ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ১৮৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এসেছে ১৬১ কোটি ডলার। গত বছরে জুলাইয়ে এসেছে ১৭ কোটি ও চলতি বছরের একই সময়ে এসেছে ১৮ কোটি ডলার। এর বিপরীতে শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি সময়ে বৈদিশিক ঋণপ্রবাহ ও কমে গেছে। এ কারণে ডলারের প্রবাহ বাড়ছে না। আগে বৈদেশিক ঋণের সুদের হার ছিল কম। এখন বেড়ে যাওয়া চড়া সুদে কেউ ঋণ নিতে চাচ্ছে না। বর্তমানে লাইবারের রেট বেড়ে ডলারে ৫.৯০ শতাংশ এবং ইউরোতে ৪.৮ শতাংশ ওঠেছে। এর সুদের আড়াই শতাংশ যোগ করলে সুদের হার দাড়ায় ডলারে ৮.৪০ শতাংশ এবং ইউরোতে ৭.৩০ শতাংশ ঋণের সুদের হার বেড়ে যাচ্ছে।
যার ফলে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ কমে গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমেছে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামছুল আলম একটি দৈনিক সাক্ষাৎকারে বলেন, বৈদেশিক সহায়তা আপ এন্ড ডাউন থাকবেই। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এখনও প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিতে পারি। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা কখনও কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩৫০ কোটি ডলারের মতো ঋণ পরিশোধ করে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের পর এটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৫০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার। কিন্তু সে তুলনায় যদি বৈদেশিক মুদ্রা আয় না বাড়ে তাহলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ডলার সংকটের কারনে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ও চাপ আশার আশংকা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের বর্তমান ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ঘাটতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়ে চলেছে। বিশ্বব্যাংক পূর্ভাবাস করেছে। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আগের অবস্থায় ফেরার আগে ২০২৪ অর্থ বছরে কমে ৫.৬ শতাংশে দাড়াবে।
রফতানি আয়ের গুরুত্ব ও সবচেয়ে বেশি অংশীদার গার্মেন্টসে ও গত ৭ মাসে রফতানি কমেছে ২৯ শতাংশ। যা মোট রফতানির একতৃতীয়াংশ, ইউরোপের বাজারে ও কমেছে ১৪.৫০ শতাংশ। পাশাপাশি জ্বালানির দাম বৃদ্ধিও দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় এ খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ খাতটিও অত্যন্ত চাপে পড়েছে। অর্থনীতির এমন মন্দার মধ্যে দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান মুডিস, স্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুওরস এর পর আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিচ রেটিংসও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পূর্বাবাসকে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক দিকে ধাবিত হওয়ার খবর দিয়েছে।
অর্থনীতি যে, ভয়াবহ সংকটের মধ্যে আছে তার আর একটি নমুনা হলো আমাদের ব্যাংকিং খাত। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের ছাড় দেওয়ার পরও খেলাপি ঋণ কমাতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ হিসাব ও বলছে, জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়ে গেছে। এপ্রিল-জুন/২০২৩ সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। জানুয়ারি-জুন/২০২৩ ছয় মাসে বেড়েছে ৩৫ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি - সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। খেলাপি গ্রাহকদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিশেষজ্ঞগণ ঋণ খেলাপি ট্রাইবুনাল গঠনের কথা বলেছেন। ট্রাইবুনালে প্রত্যেক ব্যাংকের শীর্ষ খেলাপিদের বিচার করতে হবে। উন্নত দেশগুলোর মতো খেলাপি গ্রাহকদের মাল ক্রোক করাসহ তাদের জেলে পাঠাতে হবে। বিচারে কোনো আপিলের সুযোগ রাখা যাবে না। অর্থ ঋণ আদালত এর কাজ দ্রুত ও যুগোপযোগী করতে হবে। খেলাপি ঋণ বাড়ার অন্যতম কারণ হলো ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া। ব্যাংকগুলোর উচ্চ পর্যায়ে থাকা লোকদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ও খেলাপি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়াও ব্যাংকের অব্যবস্থাপনায়, তদারকি ঘাটতি, অনিয়ম জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ও রয়েছে। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা আনতে হলে কঠোরভাবে এসব অনিয়ম দূর করতে হবে। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
প্রভাবশালী, রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুপারিশে বা যোগসাজশে বিতরণকৃত ঋণই খেলাপি হয়ে থাকে। এসব ঋণ আদায়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নানা দিক থেকে হয়রানি হতে হয়। নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও ঋণ ফেরৎ দিতে চায় না। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর হওয়া উচিত। খেলাপি ঋণের কারণে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোই যে সমস্যা পড়ছে তা নয়। সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনিয়ম বন্ধ হলে, ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে খেলাপি ঋণ কমে আসতে বাধ্য। বর্তমান ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারি সম্পদের অপচয় রোধ করতে হবে। স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা আনতে হবে। অপচয় রোধে করতে হবে ও নিয়মনীতি সমূহ যত্নের সাথে পরিপালন করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধ করে আগামী প্রজন্মকে সু-শিক্ষিত, সু-শৃঙ্খল জাতিতে পরিণত করতে হবে। অসৎ ব্যবসায়ীরা যেন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয় না পায় সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, রফতানি বহুমুখীকরণ ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জনগণকে মানসম্মত রাষ্ট্রীয় সেবা দিতে রাজস্বের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত। অর্থনীতিকে মজবুত করতে হলে, ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্যাংকের প্রতি আমানতকারীদের আস্থা ফেরাতে হবে। অনিয়ম দুর্নীতি অরাজকতা ও দূর করে সু-শাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও রফতানিমুখী শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষিত জনশক্তিকে বিদেশে পাঠিয়ে বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দেশে সম্পদ অনেক, আমাদের জনসংখ্যা ও আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। সকল সম্পদের হেফাজত ও সঠিক ব্যবহার করে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক

