বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বইমেলায় গাজী মুনছুর আজিজের ভ্রমণগল্প ‘অজানা অজন্তা’

ফিচার প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৭ এএম

শেয়ার করুন:

বইমেলায় গাজী মুনছুর আজিজের ভ্রমণগল্প ‘অজানা অজন্তা’

অমর একুশে বইমেলায় এসেছে গাজী মুনছুর আজিজের নতুন ভ্রমণগল্প ‘অজানা অজন্তা’। প্রকাশ করেছে চমনপ্রকাশ। প্রচ্ছদ করেছেন দেওয়ান আতিকুর রহমান। দাম ২৫০ টাকা। চমন প্রকাশের স্টল নম্বর ৫৩৮। এ ছাড়া বইটি পাওয়া যাবে বাতিঘর বাংলামটর (বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র) ও শাহবাগের আজিজ মার্কেট শাখায়। 

অজন্তার রহস্যময় গুহাগুলো পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন। খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ বছর আগে থেকে পাহাড় খোদাই করে গুহাগুলো তৈরি। এসব গুহার ভেতর পাথর কেটে কেটে তৈরি নানা শিল্পকর্ম ও গুহার দেয়ালে আঁকা রঙিন চিত্রকর্ম। যে কেউ রীতিমতো বিষ্মিত হবেন এসব শিল্পকর্ম দেখে। ছোট-বড় ৩০টি গুহা রয়েছে অজন্তায়। গুহাগুলোর মধ্যে কোনোটি চৈত্য বা উপাসনালয়। আবার কোনোটি বিহার। প্রতিটি গুহার শিল্পকর্মে আছে আলাদা বৈচিত্র্য। মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষু বা সন্ন্যাসীরা সংস্কৃতিচর্চা বা ধর্মচর্চা বা উপাসনার জন্য এসব গুহা ও শিল্পকর্ম করেছেন। প্রায় ৯০০ বছর ধরে নির্মাণ করা অজন্তা নবম বা দশম শতাব্দীতে হঠাৎ সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত হয়। এরপর প্রায় হাজার বছর লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল শিল্পসমৃদ্ধ এসব গুহা। লেখক অজন্তার গুহাগুলো ঘুরে ঘুরে যা দেখেছেন আর জেনেছেন, তা সহজ ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ‘অজানা অজন্তা’য়। তবে অজন্তার শিল্পের যে গভীরতা, সে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেননি লেখক।


বিজ্ঞাপন


গাজী মুনছুর আজিজের নেশা ভ্রমণ। পেশা লেখালেখি। ঘুরে বেড়ান দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ঘুরতে গিয়ে সেখানকার নদীর পানিতে শরীর ভেজানো তার আরেক নেশা। মাঝেমধ্যে বের হন সাইকেল অভিযানে। দেশের বাইরেও যান। লেখালেখি করছেন পাখি-প্রকৃতি, লোকসংস্কৃতি, খাবার, ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। 

তার উল্লেখযোগ্য বই ‘রূপসী বাংলার রূপের খোঁজে’; ‘ভ্রমণের দিন’; ‘ভুটান দার্জিলিং ও অন্যান্য ভ্রমণ’; ‘অনন্য আরব’; ‘পজিটিভ বাংলাদেশ’, ‘ফাদার মারিনো রিগন’; ‘৭১-এর খণ্ডচিত্র’। সম্পাদনা করছেন ‘ঈদ উৎসব’ ম্যাগাজিন। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য হিসেবে পাখি শুমারিসহ বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য। পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে নিয়মিত প্রচারণা চালান। এভারেস্ট জয়ী সজল খালেদ স্মরণে প্রতি বছর কক্সবাজারে একক ম্যারাথন করেন। বাড়ি চাঁদপুর সদরের নানুপুর গ্রাম। জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনীমহল গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ মুনছুর গাজী, মা মরিয়ম বেগম।

২০০১ সালে তিনি চাঁদপুরে প্রতিষ্ঠা করেন মুনছুর গাজী ফাউন্ডেশন। এর উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, বই বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, পাঠাগার পরিচালনা, পরিবেশ সচেতনতা, ইলিশ আড্ডাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর