সুলতান। বয়স ১২। বীর দর্পে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ান রাজধানীর রাজপথে। সখের বসে সুলতানকে ঘোড়া উপহার দেন তাঁর বাবা। নামও রাখেন সুলতান। বাবাহীন পরিবারে সখের ঘোড়া এখন উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। ঘোড়া নিয়ে রাস্তায় বের হলে সবাই তাকে রাজা বলে ডাকে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে দেখা হয় সুলতানের সাথে। তিনি বলেন, ‘ঘোড়া লাপায়া লাপায়া চলে আর সবাই তহন আমারে রাজা রাজা বইলা ডাহে। আমার বন্ধুরাও আমারে রাজা কইয়্যা ডাহে। আর এইডা আমার ভালো লাগে।’
‘সুলতান’ বাবাকে হারিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। এখন বাবার স্মৃতি ‘সুলতান’ নামকে আঁকড়ে ধরে পরিবারের ভার কাঁদে নিলেন ছোট্ট এই শিশু। উপার্জনের আশায় প্রতিদিন সকালে সাভারের ফুলবাড়িয়া থেকে রাজধানীতে আসে সে।
এ ব্যাপারে সুলতান বলেন, ‘আমড়া ফুলবাড়িয়া থাকি। আমার বাপে মইরা গেছে। মা আছে। আমডা দুই ভাই। এহন ফুলবাড়িয়া থেইক্কা আইছি। মাঝেমধ্যে ঘোড়ায় মানুষ চড়ে। দিনে ৫০০- ৬০০ ট্যাকা হয়। এই ট্যাকা থেকে কিছু খামারে দিতে হবে। বাকি ট্যাকা মাকে দিই। আইজকা ছোট ভাইডার জন্য খেলনা কিননা নিমু।’
প্রতিদিন সকালে রাজধানীতে আসে সুলতান। আবার সন্ধ্যার দিকে ফুলবাড়িয়া চলে যান। ঘোড়াগুলোকে রেখে যান শ্যামলির দিকে একটা খামারে।
সুলতানের বন্ধু বলেন, ওগো ঘোড়া তিনটা। শ্যামলীতে একটা জায়গায় রাতে রাখে। সুলতান খুব ভালো। সে আমার ভালো বন্ধু। মাঝে মধ্যে আমারেও চড়তে দেয়।
বাবাহীন সুলতানের মা-ই সব। মায়ের সব কষ্ট লাগব করতে এখন তার প্রাণান্ত চেষ্টা।
ভিডিওতে দেখুন এখানে ক্লিক করে
বিএইচআর/এএস