রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় মা বৃষ্টি ও তার শিশু কন্যা সানজা মারওয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চব্বিশ ঘণ্টা না পেরুতেই মৃত্যুর আসল রহস্য উম্মোচিত হয়েছে। আসলে ওই মা-মেয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য দুধের সাথে খাওয়ানো হয়েছিল ৩০টি ঘুমের ওষুধ। আর এগুলো খাইয়েছিল বৃষ্টির স্বামী সেলিম।
বুধবার ভোর রাতে খবর পেয়ে পুলিশ মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে। ওই সময় জিজ্ঞসাবাদের জন্য বৃষ্টির স্বামী সেলিমকে আটক করলে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার কথা আটক সেলিম প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ডিভিশনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, বৃষ্টির স্বামী সেলিমের অন্য মেয়েদের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। তিনি প্রায় সময়ই বাসা থেকে হাওয়া হয়ে যেতেন। এ নিয়ে তাদের সংসারে চলতো কলহ। এই কলহ মেটাতে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার বসাও হয়েছিল কিন্তু নিহত বৃষ্টি আর কিছুদিন দেখতে চেয়েছিল স্বামী সেলিম যদি বদলান। কিন্তু তিনি বদলাননি। উল্টো বৃষ্টি ও তার মেয়েকে চিরতরে পৃথিবী থেকে সরানোর পরিকল্পনা করতে থাকেন।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বুধবার রাতে বাহির থেকে দুধ কিনে আনেন সেলিম। এরপর সেই দুধ মা ও মেয়েকে খাওয়ান তিনি। এতে বৃষ্টি ও তার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর মৃত্যুর দায় এড়াতে তাদেরকে বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধে খাওয়ার কারণে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত বৃষ্টির বাবা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ মামলায় একমাত্র আসামি হতে পারেন সেলিম।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/একেবি

