বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এক বছরেই শেষ হবে বিসিএসের সব কার্যক্রম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৩০ পিএম

শেয়ার করুন:

এক বছরেই শেষ হবে বিসিএসের সব কার্যক্রম

স্বপ্নের চাকরি বিসিএস। আর সেই চাকরি পেতে প্রার্থীদের অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এবার সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আর দীর্ঘসময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না চাকরি প্রত্যাশীদের। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভাসহ সকল পরীক্ষা শেষ করা হবে। এ লক্ষ্যে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)।

এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আড়াই থেকে তিন বছরের অপেক্ষারও অবসান হচ্ছে। সর্বশেষ ৪৪তম বিসিএসের আবেদন শেষ হয়েছে। এই বিসিএস থেকেই এক বছরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে চায় পিএসসি।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সামনে চাকরি প্রত্যাশীদের এমনই সুখবর দিলেন পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।

পিএসসির পরীক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতির  নানা দিক তুলে ধরে কিভাবে দ্রুত সময়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা শেষ করা যায়, কিভাবে পরীক্ষার প্রশ্ন সকল চাকরি প্রত্যাশীর কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়-এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন পিএসসি চেয়ারম্যান।

গত ২ মার্চ শেষ হয়েছে ৪৪ তম বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া। এই বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে তিন লাখ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে এ বিসিএসের আবেদনের সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছিল।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। প্রথম দফায় আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এ বিসিএসে নেয়া হবে এক হাজার ৭১০ জনকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নেওয়া হবে ৭৭৬ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে ২৭ মে।


বিজ্ঞাপন


গত ২০ জানুয়ারি প্রকাশ হয়েছে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল। এতে ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট তিন লাখ ২১ হাজার ৬৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন। ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন প্রক্রিয়া। শুরুতে আবেদনের শেষ সময় গত বছরের ৩১ জানুয়ারি করা হলেও পরে করোনা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশে সময় বাড়িয়ে গত বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৩তম বিসিএস থেকেই এক বছরে পরীক্ষা শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে লক্ষ্য থেকে কিছুটা সরে আসে পিএসসি। তবে এবার রোডম্যাপ চূড়ান্ত। ৪৪ তম বিসিএস থেকেই এক বছরে পরীক্ষা শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন পিএসসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।

তিনি বলেছেন, ‘৪৩ তম বিসিএস থেকেই আমরা কাজটি করতে চেয়েছি। কিন্তু করোনার কারণে সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতিতে আমাদের কার্যক্রম পেছাতে হয়েছে চাকরি প্রাথীদের স্বার্থেই। আসলে পিএসসিতো চাকরি প্রার্থীদের জন্যই। তাই তাদের স্বার্থই আমাদের সব কিছুর আগে। তবে এখনো আমরা ৪৩ তম বিসিএস দ্রুত শেষ করার লক্ষ্য থেকে সরে আসিনি। হয়তো কিছুটা সময় বেশি লাগবে। কিন্তু তাও কতটা দ্রুত শেষ করা যায় সেই লক্ষ্য আমাদের আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘একটা পরীক্ষা এক বছরের টার্গেট নিয়ে শেষ করতে পারলেই বোঝা যাবে কি কি চ্যালেঞ্জ সামনে আসে। তাই আমরা ৪৪ তম বিসিএস থেকেই এক বছরে পরীক্ষা শেষ করার চূড়ান্ত লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আশা করি তা সম্ভব হবে। এটা করতে পারলে উপকৃত হবে সকলেই।’

সকলের কাছে সমানভাবে প্রযোগ্য প্রশ্ন করার কথা জানিয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা চাই প্রশ্নটাও যেমন এমন হয় যে সকল ধরনের প্রার্থীদের কাছে সমানভাবে প্রযোজ্য হয়। যারাই পরীক্ষায় বসবে তাদের সকলের কাছে যেন প্রশ্ন সমানভাবে প্রযোজ্য হয় এমন প্রশ্ন আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমি মনে করি এই প্রতিষ্ঠান চাকরি প্রার্থীদের জন্যই। তাদের সকলের স্বার্থ স্বচ্ছতার সঙ্গে কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়েই আমরা কাজ করছি।’

ডব্লিউএইচ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর