শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন অতি গুরুত্বপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন অতি গুরুত্বপূর্ণ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যেকোনো জাতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সিভিল রেজিস্ট্রেশন বা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি- ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং কর্মপরিকল্পনা ত্বরান্বিতকরণের জন্য সিভিল রেজিস্ট্রেশন ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স বা সিআরভিএস বেশ কার্যকর। সে জন্য বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

বুধবার (৭ জুন) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ার সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রফেশনালদের তৃতীয় আঞ্চলিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট।

LGEDসম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দ্রুত নগরায়নের ফলে বাংলাদেশের শহরে কত মানুষ বসবাস করছে, সে পরিসংখ্যান আমাদের নীতি প্রণয়নের সাহায্য করে। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ও অবদান সারা বিশ্বে স্বীকৃত। সিভিল রেজিস্ট্রেশন নারী-পুরুষের নানা ধরনের তথ্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এ সময় ইউনিসেফ ও ইউএন এসক্যাপকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ সিআরভিএসকে শক্তিশালী করায় ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার সাথে সাথে বিভিন্ন গবেষণায় ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। সেই সঙ্গে এই সম্মেলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের তথ্য পর্যালোচনা, সমস্যা ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এর ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সিভিল রেজিস্ট্রেশন এবং অত্যাবশ্যক পরিসংখ্যানসহ আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

LGEDসম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সিভিল রেজিস্ট্রেশন ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স বা সিআরভিএস সঠিক নীতি নির্ধারণের অতি গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে অংশগ্রহণকারী সিভিল রেজিস্ট্রারগণ নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হবেন এবং তাদের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে। যা আঞ্চলিক যোগাযোগের বন্ধনকে আরও সমৃদ্ধ করবে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া অন্যদের মধ্যে সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, এশিয়ান সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রফেশনালদের এই সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়ায় সিআরভিএসকে শক্তিশালী করার জন্য অদ্যাবধি প্রচেষ্টার মূল্যায়ন ছাড়াও সাফল্য বা ভালো অনুশীলন, শেখা-শিখন বিষয়গুলো তুলে ধরা, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণসহ লগ্নী বা বিনিয়োগগুলোকে চিহ্নিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রফেশনাল বা সিআরএইট হলো একটি পেশাদার নেটওয়ার্ক, যারা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল,পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিবন্ধনের সাথে কাজ করে। দক্ষিণ এশিয়ার জাতিসংঘের শিশু তহবিলের আঞ্চলিক কার্যালয় (ইউনিসেফ রোসা) এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসসিএপি) গ্রুপটিকে সহায়তা করে। এই নেটওয়ার্কটি ২০১৮ সালে গঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দুটি সভা করেছে। এ বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আঞ্চলিক সম্মেলনের উদ্দেশ্য- গত দশকের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।

ডিএইচডি/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর