শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া পাসের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া পাসের দাবি

তামাক চাষ বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি স্বরূপ। তাই দেশের জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে তামাক চাষের পরিবর্তে খাদ্য ফসল ফলানোর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীর খসড়া দ্রুত পাস করার দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহছানিয়া মিশন অডিটোরিয়ামে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম।


বিজ্ঞাপন


মূল প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে বিশ্বে ৭৯টি দেশে ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ মানুষ চরম মাত্রায় খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছে। এমন অবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচনায় আনা অতীব জরুরী। তাই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে তামাক চাষের পরিবর্তে খাদ্য ফসল ফলানোর উদ্যোগ নিতে হবে। তামাক চাষ মূলত রবি ফসলের মৌসুমেই হয় এবং সে সময় নানা রকম সবজি, ডাল, তৈলবীজ, ধান এসব ফসল না করে এ জমিতে ক্ষতিকর একটি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে, যা দিয়ে সিগারেট, বিড়ি, জর্দার মত নিকোটিনযুক্ত পণ্য উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে এসডিএফ’র চেয়ারপার্সন আবদুস সামাদ বলেন, বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ মাত্র ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৭ হাজার একর। অথচ তামাক চাষে ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। আগামীতে দেশে তামাক চাষ বন্ধ করতে হলে, প্রয়োজন তামাকের ব্যবহার কমানো। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন সংসদ অধিবেশনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীর খসড়া দ্রুত পাস জরুরি। পাশাপাশি ই-সিগারেট বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, তামাক চাষে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক নদীর পানিতে মিশে যাওয়ার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে মৎস্য প্রজনন, ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা। তাই জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংশোধিত আইনটি পাশ এখন সময়ের দাবি।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অতিরিক্ত হোসেন আলী খোন্দকার, সিটিএফকে-বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হকসহ অনেকে।


বিজ্ঞাপন


প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।

কারই/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর