শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, ঢাকা

করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকায় নির্ধারণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৩, ১১:৩১ এএম

শেয়ার করুন:

করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকায় নির্ধারণের দাবি

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সর্বনিম্ন আয়কর ৩ লাখের পরিবর্তে ৫ লাখ টাকায় নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। 

বুধবার (২৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। 


বিজ্ঞাপন


সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ এমনিতেই দিশাহারা। এরপর যদি আয়করের বেড়াজালে ফেলে সাধারণ নাগরিকদের নাজেহাল করা হয়, তা হবে চরম বৈষম্যমূলক। সরকার যেখানে বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না, সেখানে আয়করের বেড়াজালে নাগরিকদের ফেলা সমীচীন হবে না। 

আয়ের তুলনার ব্যয় দ্বিগুণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংসার চালাতে মানুষ তার কর্ম পরিধি বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এতে তাদের আয় কিছুটা বাড়লেও খরচের পরিমাণ বেড়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ।

উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন যারা দুই রুমের বাসায় ভাড়া থাকেন তাদের (অভিজাত এলাকা ছাড়া) ভাড়া সর্বনিম্ন ১২ থেকে ১৫ হাজার। তার সাথে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল যোগ করলে দাঁড়ায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার। অর্থাৎ বছরে বাড়ি ভাড়া দিতেই চলে যায় ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ বাবদ তার খরচ হয় বছরে প্রায় ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চিকিৎসা টেলিযোগাযোগ যাতায়াত ও আপ্যায়ন বাবদ পরিবারের খরচ হয় বাৎসরিক প্রায় ৮০ হাজার টাকা সর্বনিম্ন। 

একটি পরিবার গরিব হলে খাওয়া-দাওয়া করলেও তার মাসিক খাওয়া-দাওয়া বাবদ ১০ হাজার টাকা হলে বছরে তারা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই অবস্থায় সঞ্চয় এখন আর নেই বললেই চলে। অর্থাৎ সর্বমোট খরচ দাঁড়াচ্ছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টাকা। পাকিস্তানের বর্তমানে সর্বনিম্ন আয়কর ৬ লাখ, শ্রীলঙ্কায় ১২ লাখ ও নেপালে ৪ লাখ রুপি। অথচ আমাদের দেশে সর্বনিম্ন আয়কর ৩ লাখ। 


বিজ্ঞাপন


আয়করের এই মাত্রাকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি মুসলিম প্রধান দেশে সবাই বৈধভাবে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় জীবনযাপন করতে চায়। কিন্তু বর্তমান প্রক্রিয়ায় একজন ফকির বা রিকশাচালককেও আয়করের মামলায় জড়ানো সম্ভব।

কর সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের যেকোনো কর্মকাণ্ড বা বিদেশ ভ্রমণে এমনকি ব্যাংকে নগদ অর্থ রাখার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন স্লিপ বাধ্যতামূলক। পূর্বে শূন্য রিটার্ন জমা দিলেও আয়কর রিটার্ন স্লিপ তুলতে কোনো টাকা লাগতো না। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি আসন্ন বাজেটে হাইকোর্ট রিটার্ন স্লিপ তুলতে ২ হাজার টাকা আয়কর জমা দিতে হবে। আমরা এটিও বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। সরকার এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতি আমাদের অনুরোধ বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সর্বনিম্ন আয়কর নির্ধারণ করুন জনগণকে কর সংক্রান্ত হয়রানি থেকে মুক্তি দিন।

এমএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর