বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম-সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেছেন, বায়ুদূষণের কারণে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে বেড়ে উঠবে। এই জায়গা থেকে আমরা তাদের কাছে দায়বদ্ধ।
সোমবার (২২ মে) ঢাকার শাহবাগ চত্বরে বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) উদ্যোগে বায়ুদূষণ কমাতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, নিশ্চয়ই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তা’আলা আমাদের এমন এক দেশ দিয়েছেন যেখানে বীজ বপন করলেই গাছ হয়, শুধু লালন-পালন করলেই আমরা এই ক্ষতিকর বায়ুদূষণ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারি। আজকে আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হই এই শহরকে আবার সাজাবো এবং সবাই একসাথে কাজ করবো।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ এখন একটি উদ্বেগজনক জায়গায় আছে। অথচ রাষ্ট্র কিন্তু এখানে নির্বিকার। এই বায়ুদূষণ নিয়ে যে গবেষণা হচ্ছে বেশির ভাগই হচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগে। সরকারি যে কয়েকটা গবেষণা হচ্ছে সেখানে অল্প জায়গাতে বায়ুমান পরিমাপ করা হচ্ছে। কিন্তু তা দিয়ে পুরো শহরের যে ক্রান্তিক অবস্থা সেটা বুঝার উপায় নেই। অথচ রাষ্ট্রের উচিত ছিল সরকারিভাবে সবাইকে নিয়ে আলোচনা করা, গবেষণা করা ও করণীয়গুলো ঠিক করা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম-সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, বায়ুদূষণের ফলে ধীরে ধীরে আমরা অসুস্থ জাতিতে পরিণত হচ্ছি। সবাইকে নিয়মিত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। সরকারকে বিভিন্ন পর্যায়ে দূষণের উৎসগুলো কমিয়ে আনতে আইনের প্রয়োগ করতে হবে।
বারসিকের সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বায়ুদূষণ আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বায়ুদূষণ আমাদের সমস্ত নগর এলাকার মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। নগর হলো উন্নত জীবন ধারণের স্থান। কিন্তু অপরিকল্পিত উন্নয়ন, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়ার কারণে নগরের বায়ু প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে এবং পরিবেশ দিন দিন বসবাসের জন্য অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। তাই বায়ুদূষণ কমানোর জন্য এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বারসিকের সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বাপা যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী, শিক্ষার্থী, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষক এবং ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, জিএলটিএস, সেভ ফিউচার বাংলাদেশ, গ্রিন ভয়েজ ও বিএনসিএসহ অন্যান্য পরিবেশবাদী সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএইচডি/এইউ

