বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অভিজ্ঞতা অর্জনে চীনে মেয়রের একান্ত সচিব, কাউন্সিলর, এস্টেট অফিসার

দেলাওয়ার হোসাইন দোলন
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৩, ১১:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

অভিজ্ঞতা অর্জনে চীনে মেয়রের একান্ত সচিব, কাউন্সিলর, এস্টেট অফিসার

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আর সে লক্ষ্যে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শনে (প্লান্ট পরিদর্শন) চীন সফরের গেছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়রের সঙ্গে এ সফরে আছেন মেয়রের একান্ত সচিব, কাউন্সিলরসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। যদিও তাদের অনেকেরই এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই।

১৮ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত তারা চীনে সরেজমিনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করবেন।


বিজ্ঞাপন


যারা বিদেশ সফরে যাচ্ছেন তাদের অনেকেই এই কারিগরি বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ফলে এসব কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের বিদেশ সফর রাষ্ট্রের তেমন কাজে আসবে না।

সফরে মেয়রের সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শের আলী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এসএম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির চিফ এস্টেট অফিসার ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব বেলাল হোসেন, মেয়রের একান্ত সচিব শাহ মুজাহিদ উদ্দিন, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এসএম শফিকুর রহমান, ডিএনসিসির ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসহাক মিয়া, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শিলা।

মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ১৩ মে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন হবে। পাশাপাশি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির ব্যবস্থায় খুলবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। কোনো সিটি করপোরেশন এর আগে এ ধরনের কাজ করতে পারেনি দাবি করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসি ২০২৫ সালের মধ্যে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পারবে।

মেয়রের এ সফর নিয়ে চলছে নানা মহলে সমালোচনা।


বিজ্ঞাপন


এ প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ঢাকা মেইলকে বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দেখতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের যারা বিদেশ সফরে যাচ্ছেন তাদের অনেকেই এই কারিগরি বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ফলে এসব কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের বিদেশ সফর রাষ্ট্রের তেমন কাজে আসবে না।

ড. আদিল মুহাম্মদ খান আরও বলেন, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ও উপযুক্ত ব্যক্তিদের এই ভ্রমণে সম্পৃক্ত করা গেলে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো সংবেদনশীল প্রকল্পের ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হতো। অন্যথায় অন্য অনেক অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফরের তালিকার মধ্যে এই সফরও যুক্ত হবে, যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি কর্মসূচির আওতায় দেশটির মিয়ামি শহরে সফর করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি প্রতিনিধিদল। সেখানে গিয়ে মশা নিধন কার্যক্রম দেখে ডিএনসিসি মেয়র আতিক জানান, ঢাকা শহরে মশা নিধনে যে প্রক্রিয়ায় কাজ করা হয় তা ভুল পদ্ধতি। সিটি করপোরেশন এতদিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে। তাতে মশা তো ধ্বংস হয়নি, বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। যদিও সঠিক পদ্ধতি কি তাও বলছেন না। মাসের পর মাস পেরুলেও ভুল পদ্ধতিতেই মশা মারা হচ্ছে।

ডিএইচডি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর