প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করেছেন, সেই প্রত্যয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ওই আলোচনা সভা, শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রত্যয় নিয়ে, একটি গরিব দেশকে আত্মমর্যাদাশীল দেশে পরিণত করেছেন, মাত্র ১৪ বছরে একটি আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করেছেন, একজন বাঙালি হিসেবে, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে, বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে আপনাদেরকেও সে প্রত্যয় বুকে ধারণ করে দেশ গঠনে অংশ নিতে হবে।’
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘কেউ যেন আমাদের নিচু করে দেখতে না পারে, আমরা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, চলতে পারি। সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে হবে, তাদেরও দেখিয়ে দিতে হবে- আমরাও পারি। উই ক্যান।’
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৎকালীন সরকার বাধ্য হয়েই শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দিয়েছিল। দেশের বাইরে থাকায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু বেঁচে গেলেও তারা আর দেশে ফিরতে পারেন না। তাদের শরণার্থীর মতো বহির্বিশ্বে থাকতে হয়। জার্মানি থেকে তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়। তাদের চলে যেতে হয় ইংল্যান্ডে। সেখানে কিছুদিন থাকেন। তারপরে তাদের আশ্রয় নিতে হয় ভারতে।’
বিজ্ঞাপন
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাদের (বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা) আশ্রয় দেন। দীর্ঘ ৬ বছর স্বৈরশাসক খুনি জিয়াউর রহমান জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দেশে ফিরতে দেয়নি। ১৯৮০ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপরই তিনি অনেকটা জোর করেই বলেন, আমি দেশে ফিরে আসব। আমাকে দেশে ফিরতে দিতে হবে। তারপরই খুনি জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হন।’
শেখ তাপস বলেন, পরিবারের সবাইকে হারানোর পরে সেই বেদনা, কষ্ট, শোক বহন করে শেখ হাসিনা আজ থেকে ৪২ বছর আগে ১৭ মে, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন। তাই আজকের এই দিনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার স্বদেশে আবার ফিরে আসতে পেরেছেন।
>> আরও পড়ুন: ‘স্যাংশনকে ভয় পাই না, হুমকি-ধামকি দেবেন না’
দেশে ফিরে তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে আজ পর্যন্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, সংগ্রাম করে চলেছেন উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, তার এই অসীম সাহসিকতা, নেতৃত্ব, সংকল্প, স্বপ্ন এবং জনগণের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে এ দেশের জনগণ আবার বিপুল ভোটে বিজয়ী করে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অপার সম্ভাবনাময় একটি দেশ গঠন করে দিয়েছেন। আমাদের জন্য একটি ঐক্যের, সাম্যের ও ন্যায্যের দেশে পরিণত করে দিয়েছেন।
এ দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সাংগঠনিক সচিব ও করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ডিএইচডি/আইএইচ

