দেশের কাজ যতই ভালো হোক না কেন, প্রতিপক্ষরা সেই ভালো কাজকে দেখতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেছেন, আমাদের দেশের কিছু লোক দেশের কাজ যতই ভালো হোক, কোনোকিছু ভালো তারা দেখতে পারে না। এরা হচ্ছে চোখ থাকতেও অন্ধ, কান থাকতে বধির। আর তা তাদের হীনমন্যতা। এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যত প্রচার-অপ্রচার তারা চালিয়ে যাচ্ছে। হয় তাদের জ্ঞানের অভাব, আর না হয় তাদের দুরভিসন্ধি। প্রতিহিংসা পরায়নতা, এটাতো তাদের থাকবেই।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৫ মে) বিকেল সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের ফলাফল সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন তিনি। বিকেল ৪টার কিছু সময় পর গণভবনে ওই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
রাজনীতিতে সমালোচনা ও প্রতিহিংসা থাকবেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতি যেমন করি, রাজনীতিতে সমালোচনা ও প্রতিহিংসা তো থাকবেই, স্বাভাবিক। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সময়ে দেশ কতটুকু এগিয়েছে- তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলাম। ২০০৮ সালের বাংলাদেশ এবং ২০২৩ সালের বাংলাদেশ কোথায় গিয়েছে, এই হিসেবটা করলেই তো বাংলাদেশ কতদূর এগিয়েছে, সে হিসেবটা তো সাধারণ মানুষ জানতে পারবে। যে অতিদরিদ্র ছিল ২৫ ভাগ, তা ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছি। তার মানে কি? আমাদের এখন অতিদরিদ্র বলতে তেমন কিছু নেই। আর যেটুকু আছে আমরা তাদেরকে ব্যবস্থা করে দেব, কোনো অসুবিধা হবে না।
বিজ্ঞাপন
>> আরও পড়ুন: রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই: প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি মোবাইল, টেলিফোন যা চালু করে দেওয়া হয়, এই সেক্টরে সেই সময়ে টেলিফোন ছিল এনালগ, সেগুলো ডিজিটাল করে দেই। কম্পিউটার শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেই, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে যে যুক্ত করা- সেই ব্যবস্থা নিয়েছি, স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি। একটা দেশকে ডিজিটালাইজড করা অর্থাৎ প্রযুক্তির ব্যবহার আর সেই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, আমরা তো সেটা ব্যাপকভাবে করে আসছি। স্কুলে স্কুলে এখন কম্পিউটার ডিজিটাল ল্যাব করে দিচ্ছি। আমরা বিভিন্ন জেলায় ইনক্রিমেশন সেন্টার করে দিচ্ছি, যেখানে ছেলেরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, আমরা ন্যানো টেকনোলজি ইন্সটিটিউট গড়ার জন্য ইতোমধ্যে আইন করে দিচ্ছি।
>> আরও পড়ুন: তিন দেশ সফরের বিবরণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনসহ যাবতীয় টাকা-পয়সা ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নিমিষেই লোকজনের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলোই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
এমআইকে/আইএইচ

