দুর্যোগ মোকাবিলায় আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ রাখতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মঙ্গলবার (২ মে) সকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে সম্প্রতি সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে দক্ষিণ সিটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির তৃতীয় সভার পর মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত থাকতে ও মানুষের জানমালের ক্ষতি কমাতে ওয়ার্ডভিত্তিক ন্যূনতম ২০০ সদস্য নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করতে চাই। স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে প্রতি মাসেই মহড়া করা হবে। প্রাথমিক অবস্থায় হয়তো তিন মাস অন্তর করা হবে। পর্যায়ক্রেমে তাদের প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে মহড়া দেওয়ার মাধ্যমে। তাদের অঞ্চল ও এলাকাভিত্তিক মহড়া দেওয়া হবে, যা বাস্তবায়নে আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ রাখবে ডিএসসিসি।
ফজলে নূর তাপস বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় অতি গুরুত্ব দিয়ে সিটি করপোরেশন কর্মপরিকল্পনায় কাজ করে যাচ্ছে। একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হবে। সেই নির্দেশিকা তৈরিতে ১১ সদস্যর কমিটি করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী জুন মাসের মধ্যে এটা কার্যকর হবে। যেখান থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে পুরো ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। ডিএসসিসি ওয়ার্ড রয়েছে ৭৫টি। দুর্যোগ মোকাবিলায় এসব ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘এসব স্বেচ্ছাসেবক দলে থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। তাদের বয়সসীমা থাকবে ১৬ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। এ দলে বাসা-বাড়ির কেয়ারটেকার (দারওয়ানদের) রাখা হবে। তাদের বয়সসীমা শিথিল করা হবে। কারণ দুর্যোগে তাদেরই সবার আগে এগিয়ে আসতে হয়। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যও থাকবে ব্যবস্থা।’
দক্ষিণ সিটির ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে ডিএসসিসির পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪২টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ; ১৯৭টি সংস্কারের সুপারিশ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। দ্রুত এ ব্যাপারে ডিএসসিসি পদক্ষেপ নেবে।’
বিজ্ঞাপন
ডিএইচডি/এমআর

