শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

রমজানে বেশি কালেকশানের আশায় রাজধানীতে তাদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৫:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

রমজানে বেশি কালেকশানের আশায় রাজধানীতে তাদের ভিড়

রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতি বছরই রাজধানীতে ভিড় বাড়ে মৌসুমি ভিক্ষুকদের। যারা ঢাকায় নিয়মিত ভিক্ষা করেন না, কিন্তু রমজান মাসে বেশি বেশি কালেকশনের আশায় আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসেন ভিক্ষা করা জন্য। কিছুদিন ভিক্ষা করে আবার চলে যান। এবারও তাদের ভিড় বেড়েছে রাজধানীতে।

রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের সামনে দেখা যায় প্রবেশদ্বারে সারিসারিভাবে বসা বেশকিছু ভিক্ষুক। মুসল্লিরা নামাজ শেষে বের হলেই তারা হাত পাতেন। এদের বেশিরভাগই নারী। মুসল্লিরা জানান, এর আগে এসব জায়গায় এত বেশি ভিক্ষুক দেখা যায়নি।


বিজ্ঞাপন


ঢাকায় নিয়মিত ভিক্ষা করেন এমন কয়েকজন ভিক্ষুক জানান, রমজান এলেই রাজধানীতে থাকা বিভিন্ন স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের আত্মীয়দের নিয়ে আসেন খণ্ডকালীন ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। ঢাকার বাইরে থেকে আসা বেশিরভাগ ভিক্ষুকের লক্ষ্য থাকে অভিজাত এলাকা এবং এর আশপাশের ট্রাফিক সিগন্যালে ভিক্ষা করা। এছাড়া স্থানীয় ছোট বড় মার্কেট ও মসজিদের সামনেও তারা নিয়মিত ভিড় করেন।

রাজধানীতে নিয়মিত ভিক্ষা করা এক ভিক্ষুক বলেন, দেশের নানান জায়াগা থেকে ভিক্ষা করতে বহু লোক ঢাকা আসে। বরিশাল, ভোলা, ময়মনসিংহ এসব এলাকা থেকে বেশি আসে। আগে একজন ভিক্ষা করত। রমজানের সময় আরও একজনকে নিয়ে আসে ভিক্ষা করাতে।

dm

আরেক ভিক্ষুক বলেন, মসজিদগুলোতে রমজান আসলে লোক বাড়ে। এরা তো সারা বছর এইখানে থাকে না। শুক্রবার হইলে ওদের জন্য ঠিক মতো কারও কাছে থেকে সাহায্য নিতে পারি না। রোজাতে মানুষ কম-বেশি দান-খয়রাত করে। কিন্তু চাওয়ার মানুষ বেশি হইলে তখন সবাইরে ভাগ দিয়া সেই সারা বছরই যা পাই তাই। আর এরা তলে দিয়া ফাউ এক মাসের কামাই নিয়া যায়।


বিজ্ঞাপন


এদিকে ভিক্ষাবৃত্তি ঠেকাতে বা নিরুৎসাহিত করতে নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে সরকার। সমাজসেবা মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সূত্র জানায়, দেশে দারিদ্র্য নিরসনে ও ভিক্ষাবৃত্তির মতো অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ২০১০ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নেয়। 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, কর্মসূচি শুরুর সময় থেকে বর্তমান সাল পর্যন্ত ৪২৬৪.৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এই কর্মসূচি থেকে এপর্যন্ত ১৪৭০৭ জন লোক উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রথম বারের মতো দেশের ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের নিমিত্তে অর্থ প্রেরণ করা হয়।

ঢাকার ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকাগুলো ভিক্ষুকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত মাইকিং, বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড মেরামত/নতুন স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে বলে সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। 

টিএই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর