বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

শিশু হাসপাতালে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, যা বলছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:১০ এএম

শেয়ার করুন:

শিশু হাসপাতালে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, যা বলছে পুলিশ
ফাইল ছবি

রাজধানীর শিশু হাসপাতালে চোর সন্দেহে মো. মামুন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কোনো আনসার সদস্য জড়িত থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

রোববার (২৬ মার্চ) রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।


বিজ্ঞাপন


এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আমরা এখনও হাসপাতালের সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। প্রাথমিকভাবে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যতটুকু জানতে পেরেছি, ভিকটিম হাসপাতালের ভেতর থেকে একটা সাইকেল নিয়ে আসে। তখন হাসপাতালের গেটে আনসার সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সাইকেলটা কার। চ্যালেঞ্জের মুখে ভিকটিম সাইকেল রেখে দৌড়ে পালাতে যায়। পরে জনতা তাকে ধরে ফেলে। ধরার পরে তাকে দলবদ্ধ পিটুনি দেওয়ার পর সে মারা যায়।

এ ঘটনায় আনসার সদস্যদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইকেল নিয়ে বের হয়ে আসার সময় আনসার সদস্য তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এটা তার কাজ। পরে দৌড়ে পালানোর সময় সাধারণ জনতা তাকে মারধর করে। এই লোকটা কেন দৌড় দিল সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। ভিকটিমকে মারার অধিকার কেউ রাখে না। আনসার সদস্য এর সঙ্গে জড়িত কি না সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা তদন্তের সুবিধার জন্য এখন তার নাম প্রকাশ করতে পারব না।

উল্লেখ্য, রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চোর সন্দেহে মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে।

নিহত মামুন মিরপুর পল্লবী এলাকায় বসবাস করতেন। তার বাবার নাম ফজলুল হক। মামুন পেশায় চা বিক্রেতা।


বিজ্ঞাপন


এর আগে নিহতের বড় ভাই মাসুদ রানা বলেন, আমার ভাইকে হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্য ও হাসপাতালের অ্যাম্বুলেসের চালক এবং হেলপাররা জড়িত। চোর বলে ধাওয়া দিয়ে ধরে দলবদ্ধ পিটুনি দিয়ে তারা মামুনকে মেরেছে। আমার ভাই চুরি করলে সেটার জন্য দেশে আইন আছে। কেন তাকে পিটিয়ে মারবে।

কেআর/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর