শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হলো ডা. জাফরুল্লাহর?

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৩:০১ এএম

শেয়ার করুন:

বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হলো ডা. জাফরুল্লাহর?

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেক কেটেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের সব পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও পেশাজীবীরাও আমন্ত্রিত ছিলেন।

অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও হুইল চেয়ারে বসে বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 


বিজ্ঞাপন


সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘুরে ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এমনই একটি ছবিতে দেখা যায় ঘুরতে ঘুরতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর টেবিলের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাস্থ্যখাতে অসামান্য অবদান রাখা এই মানুষটির সঙ্গে আপনমনে কথা বলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। 

ছবিতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী যখন দাঁড়িয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলছেন তখন পাশে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও তার স্ত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজকেও একটি ছবিতে দেখা গেছে।

দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা না গেলেও জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক খোঁজ-খবর নেন শেখ হাসিনা। ছবিতে স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রীকে নিজেও কিছু বলছেন এই বরেণ্য চিকিৎসক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুশলাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দ্বাদশ নির্বাচন ইস্যুতে সৃষ্ট সংকট নিরসনে বিএনপিসহ বিরোধী দলকে সংলাপে ডাকতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন।              


বিজ্ঞাপন


যদিও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে জানা গেছে। উল্টো তিনি অতীতে সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করা, আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার পর গুলশানের কার্যালয়ে গেলেও গেট বন্ধ করে রাখা, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি অনেকে শেয়ার দিচ্ছেন। সরকারের নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনায় মুখর থাকলেও শেখ হাসিনার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর খোঁজ খবর নেয়ার মুহূর্তটি সবাই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। 

জাহিদ হাসান নামে একজন ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, নিজের মধ্যে কিছু গুণাবলী থাকলে সব রকম সমালোচনার পরও সম্মান নির্ধারিত। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজ আলোয় আলোকিত।

prime ministerদুইজনের হাসিমাখা ছবিটি শেয়ার মঞ্জুর রহমান লিখেছেন, একেবারে ব্যক্তিগতভাবে বলছি।আমার কাছে এই ছবিটি অসাধারণ লাগছে। আমার প্রিয় মানুষটির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

মোহাম্মদ ওমর ফারুক নামে একজন ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ছ‌বি‌টি‌তে মায়া র‌য়ে‌ছে, পরস্পর শ্রদ্ধা র‌য়ে‌ছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সহধর্মিণী এবং নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিণী, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ব্যবধানের পর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রায় ২৫০০ জনের মতো অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এর মধ্যে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিবারের সদস্যরা।

শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারাও সংবর্ধনায় যোগ দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরত্ব পুরস্কারপ্রাপ্ত সদস্য ও বিশিষ্ট নাগরিকরা।

পরে ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতারের আগে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মোনাজাত পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. সাইফুল কাবির।

বিইউ/এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর