বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

৭০ টাকা কেজি বেগুন বিক্রি করে জরিমানা দিলেন হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ১২:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

৭০ টাকা কেজি বেগুন বিক্রি করে জরিমানা দিলেন হাজার টাকা

পবিত্র মাহে রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধে রোজার দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর নিউমার্কেটে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নিউমার্কেটের কাঁচাবাজার, মাছবাজারসহ মুরগির বাজার ঘুরে দেখেন। সরেজমিনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাদের।


বিজ্ঞাপন


এসময় বেগুনের কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি করায় এক দোকানিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বয়লার মুরগীর দাম বেশি রাখায়ও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। 

vokta

অভিযানকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, দেশবাসীকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই- সরবরাহে কোনো প্রকার কমতি নেই। তবে মূল্যে কেউ যদি কারসাজি করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন


মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রমজান শুরু হয়েছে। এই রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সারাদেশে আমাদের তদারকি চলছে। রাজধানী ঢাকায় মোট ১১টি টিম তদারকি করছে। এরমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চারটি টিম এবং আমাদের সাতটি টিম কাজ করছে। এছাড়া সারাদেশে আরও ৬৫টি টিম কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক আরও বলেন, বাজারে যদি এবার কোনো অনিয়ম হয়; তাহলে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটিকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনব। 

vok

মাছ বাজারে অনেকেই ক্রয় রশিদ সংগ্রহ করছেন না জানিয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ক্রয় রশিদ রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। বাজার কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। বিক্রেতাদের জন্য ক্রয় রশিদগুলো রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

অভিযানকালে সঙ্গে ছিলেন, নিউমার্কেট বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক মো. বাদল মিয়া। তিনি বলেন, পবিত্র মাহে রমজান ঘিরে আমরা সকল ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ চালান রশিদ রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। কোনো ক্রেতা যেন ক্ষতির মধ্যে না পড়েন, সে বিষয়ে সতর্ক করেছি। 

চালান রশিদ না রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে বাদল মিয়া বলেন, আমাদের ব্যবসায়ী সমিতি থেকে চালান রশিদ রাখতে বলা হয়েছে। মাইকিংসহ সরেজমিন ঘুরেও বাজার তদারকি করে সচেতন করেছি। অনেক ক্ষেত্রেই খুচরা ব্যাবসায়ীরা যেখান থেকে পণ্য ক্রয় করেন, তারাই মালের রশিদ দেয় না বলেও দাবি তার। 

অভিযানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ডিএইচডি/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর