শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

৫ টাকার চপ গলি পেরোলেই ১০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

৫ টাকার চপ গলি পেরোলেই ১০ টাকা

রোজার ইতিহাসের সঙ্গে আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজুর কোনো সম্পর্ক নেই। তবু প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এই বঙ্গে ইফতারিতে যেন এই ভাজাপোড়া থাকতেই হয়। এর অংশ হিসেবে রোজা এলে ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।

এবারও তার ভিন্নতা ঘটেনি। বরং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইফতারসামগ্রীর দোকান আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে নিত্যপণ্যের চড়া দামের ছাপ পড়েছে ইফতার বাজারেও। দেখা গেছে দামের নানা অসঙ্গতি।


বিজ্ঞাপন


নগরীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, বেড়িবাঁধ চাররাস্তা এলাকার গলির মধ্যে স্থায়ী বা অস্থায়ী সব দোকানেই আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা পিস হিসেবে। যা রোজার আগে, এমনকি গত বছরও সে দামেই বিক্রি হয়েছে।

পাঁচ টাকা পিস হিসেবে চপ বিক্রি হতে দেখা গেছে যাত্রাবাড়ী, সাইনবোর্ড, মাতুয়াইল এলাকায়। তবে চিত্র শুধু গলির ভেতরে। গলি পেরিয়ে এলাকার মূল কোনো সড়কে এলেই পাল্টে যাচ্ছে দাম। পাঁচ টাকার চপ হয়ে যাচ্ছে ১০ টাকা।

মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকার বড় হোটেল ও রেস্তোরাঁর ইফতার সামগ্রীর মধ্যে আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু ১০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আল আমিন হোটেল নামের এক রেস্তরাঁয় ইফতারসামগ্রী কিনতে আসা আব্দুল মমিন ঢাকা মেইলকে বলেন, 'বাসার নিচে দেখে এলাম চপ পাঁচ টাকা। এখানে দেখি ১০ টাকা। বাসার নিচ থেকেই নেব।'


বিজ্ঞাপন


bb

এদিকে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে চপের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

আবার পাঁচ টাকার চপ ১০ টাকা করার পেছনে ভিন্ন কিছু কৌশলও অবলম্বন করেছেন কিছু ব্যবসায়ী। পাঁচ টাকার চপের আকার থেকে সামান্য বড় করে সেই চপকে ১০ টাকা বিক্রি করছেন তারা।

গলির ভেতরে ও বাইরে একই পণ্যের দুই রকম দামে অনেকটা বিস্মিত ক্রেতারা। ইফতারসামগ্রী কিনতে বের হওয়া দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, 'দুই জায়গায় প্রায় একই সাইজের চপ। একজনের কাছে ১০ টাকা, আরেকজনের কাছে পাঁচ টাকা। ব্যাপারটা কেমন না? যে পাঁচ টাকায় বিক্রি করছে, সে কি লসে দিচ্ছে? তা তো না। তার মানে যে ১০ টাকা বিক্রি করছে, সে অতিরিক্ত লাভ করছে।'

কারই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর