বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

প্রথম তারাবির নামাজে জাতীয় মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রথম তারাবির নামাজে জাতীয় মসজিদে মুসল্লিদের ঢল
ছবি: ঢাকা মেইল।

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম তারাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদগুলোয় মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। বিশেষ করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দীর্ঘ এক বছর পর আবারও মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করতে পেরে খুশি মুসল্লিরাও।

রমজানের চাঁদ আকাশে উঁকি দিলে ওইদিন রাত থেকেই শুরু হয় তারাবির নামাজ। এবারও বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) চাঁদ দেখা দিলে এশার আজানের পরপরই দলে দলে মুসল্লিরা ছুটে আসতে শুরু করেন মসজিদে। ফলে প্রথম তারাবির দিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে ও উত্তর-দক্ষিণ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ভরে যায় মুসল্লিতে। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে শুরু হয় এশার জামাত।


বিজ্ঞাপন


মুসল্লিরা বলছেন, পবিত্র মাহে রমজান এসেছে। তাই প্রথম তারাবির নামাজ পড়তে এসেছি। এক বছর পর মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে এসে খুবই ভালো লাগছে। তারাবি জামাতের সঙ্গে পড়তে পারব, এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত। আগামীকাল শুক্রবার (২৪ মার্চ) প্রথম রোজা রাখব, ইনশাআল্লাহ।

Tarabiএর আগে সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে জানানো হয়, দেশে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে রমজানের চাঁদ দেখার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

এদিকে, পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার সময় সারাদেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Tarabiএতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।


বিজ্ঞাপন


এই পরিস্থিতি নিরসনে রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৬ রমজান দিনগত রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব। এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কোরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারাদেশের সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Tarabiইসলামী বিধান অনুযায়ী, রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সেহরি খেয়ে শুক্রবার (২৪ মার্চ) রোজা রাখবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস। রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। এই মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা। এছাড়া মর্যাদাবান এই মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম কদরের রাত। সবশেষ এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষে মুসলমানরা উদযাপন করবেন ঈদুল ফিতর।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর