শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার পেলেন ৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৪:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার পেলেন ৪ জন

তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও তামাক কর বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২২’ পেয়েছেন চার সাংবাদিক। তারা হলেন প্রিন্ট মিডিয়া বিভাগে ডেইলি বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার পিংকি আক্তার, অনলাইন মিডিয়া বিভাগে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম এর স্টাফ করেসপনডেন্ট সোলায়মান হাজারী ডালিম, টিভি রিপোর্টিং বিভাগে ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তাহসিনা সাদিক এবং মোহনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শামিমুজ্জামান চৌধুরী।

বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এসময় তিনি বলেন, তামাক একটি মরণ নেশা এবং ভয়াবহ ব্যাধি। তামাক শুধু মৃত্যুর কারণ নয়, তামাক সেবনে অসংক্রামক রোগ বিশেষ করে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। অল্প বয়সে রোগাক্রান্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে তামাক সেবনকারীরা। তরুণ ও যুব সমাজসহ সবাইকে এ ভয়াবহ নেশা থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মারাত্মক চেইন স্মোকার ছিলাম। ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া সারাক্ষণই ধূমপান করতাম। যার ফলস্বরূপ বুক ধড়পড়,  হাঁচি-কাশিসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতাম। ধূমপানের ভয়াবহ পরিণতি হিসাবে সর্বশেষ ২০০৩ সালের দিকে হৃৎপিণ্ডে ৬৭% ব্লক ধরা পড়ে। পরে ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে সে যাত্রা রক্ষা পাই।

প্রধান অতিথি বলেন, সেই ২০০৩ সালে যে ধূমপান ছেড়েছি, বিগত ২০ বছরে আর সেটি ছুঁয়েও দেখিনি। মহান আল্লাহর রহমতে এরপর থেকে বেশ সুস্থ আছি।

কে এম খালিদ বলেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকদের তাদের লেখনির মাধ্যমে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।  ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২২ প্রদান একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ ও প্রশংসার যোগ্য। এর মাধ্যমে সাংবাদিকরা তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আরো নতুন নতুন রিপোর্টিংয়ে আগ্রহী ও উৎসাহী হবেন বলে আমি মনে করি।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপি ও রেলপথ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর এমপি।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খন্দকার, বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং 'ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ' এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।

পিএস/ডিএইচডি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর