বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ধর্ষণের আগে ফুসলিয়ে সিএনজিতে তোলা হয় শিশুটিকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ধর্ষণের আগে ফুসলিয়ে সিএনজিতে তোলা হয় শিশুটিকে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর নেপথ্যের ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। ‌শিশুটিকে ধর্ষণের আগে ইকবাল রোড থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল সিএনজিতে। এরপর তার মুখ চেপে ধরে ঢাকা উদ্যান এলাকার একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয় শিশুটিকে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শিয়া মসজিদে এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় সেই সিএনজি চালক সেলিমকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ‌‌

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক। ‌


বিজ্ঞাপন


এর আগেই সেলিমকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর বাড্ডার খালপাড় হাজীপাড়া রোডের একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।  এসময় তার ব্যবহৃত সিএনজিটি জব্দ করা হয়।

ডিসি আজিমুল হক জানান, গত ১৪ মার্চ বোনের সাথে মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায় বেড়াতে যায় শিশুটি। সেখানে তাদের দুই বোনের মাঝে কথা কাটাকাটির জের ধরে বড় বোন তাকে ফেলে রেখে চলে যান। পরে শিশুটি একাই হেঁটে বাসার দিকে যাচ্ছিল। তখন শিশুটি একা হাঁটতে হাটতে ইকবাল রোডের দিকে যায়। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিএনজি চালক সেলিম ও তার সহযোগী শিশুটিকে ফুসলিয়ে সিএনজিতে তোলে। এ সময় শিশুটি ডাক-চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে ঘটনাস্থলে আনা হয়। প্রথমে পলাতক আসামি জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন, পরে সেলিম ধর্ষণ করেন। পলাতক আসামি পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। উপর্যুপুরি ধর্ষণের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয় এবং তার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। শিশুটিকে ছেড়ে দিলে পায়ে হেঁটে শিয়া মসজিদ এলাকায় গেলে বড় বোনের সঙ্গে তার দেখা হয়। বোন তাকে দ্রুত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটি চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির পিতা বাদী হয়ে  আদাবর থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি সন্দেহজনক সিএনজিকে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, ইকবাল রোড এলাকার ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহজনক সিএনজিটির নম্বর শনাক্ত করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় সিএনজি ড্রাইভারের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে চালক সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার সহযোগী পলাতক রয়েছেন। তার বিস্তারিত নাম-পরিচয় পেয়েছি। তাকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর