রাজধানীর যে কয়টি বাজারে অন্য সব জায়গার চেয়ে বেশি দামে দেশি-বিদেশি ফলসহ নিত্যপণ্য বিক্রি হয় হাতিরপুল তার অন্যতম। তবে ক্রেতারা অনেকটা নীরবে সহ্য করে গেলেও বাজারটির সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে হঠাৎ ঢু মারলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বাজারে ঢুকে প্রথমে ফলের বাজারে গিয়ে অভিযানে যাওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের চোখ তো ছানাবড়া।
কারণ একদিন আগে রাজধানীর সবচেয়ে বড় ফলের পাইকারি বাজার বাদামতলীতে যে আঙ্গুর সর্বোচ্চ দেড়শ টাকা কেজি দেখেছেন ম্যাজিস্ট্রেট, হাতিরপুলে তা ২৫০ টাকা কেজি। একটু বেশি ভালোমানের হলে ২৮০ টাকায়ও এই বাজারে বিক্রি হয় সবুজ আঙ্গুর।
বিজ্ঞাপন
শুধু তাই নয়, আপেলসহ অন্য সবধরনের দেশি-বিদেশি ফলের দাম নিজেদের খেয়ালখুশি মতো নেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। অথচ কারও কাছেই নেই বাদামতলী থেকে পাইকারি ফল কেনার রশিদ।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরের পর হাতিরপুল বাজারে অভিযানে এমন অনিয়ম পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। এসময় ক্রয় রশিদ না রাখা, ফুটপাত দখল করে দোকান করার অভিযোগে অভিযানে চার দোকানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
সন্ধ্যায় অভিযানের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মো. জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা মেইলকে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ করপোরেশনের মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনায় ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিনের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে হাতিরপুল বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছি। এখানে ফল ব্যবসায়ীরা অনেকটা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। কারণ নিয়ম থাকলেও তারা পাইকারি বাজারের ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেননি। আমরা বাদামতলীতে যে ফলে যেমন দাম জেনেছি তার অনেকটা ধারেকাছেও নেই এখানকার বাজার।
বিজ্ঞাপন
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এখানকার সবজি বিক্রেতারা কারওয়ান বাজার থেকে সবধরনের সবজি পাইকারি কিনলেও দোকানিরা জানিয়েছেন, তাদের কোনো রশিদ দেওয়া হয় না। এটা আসলে সমস্যা।
অভিযানের মুখে দোকানিরা পরবর্তী সময়ে ক্রয় রশিদ সংরক্ষণে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা। এসময় ফুটপাত দখল করে সবজি, ফল বিক্রেতাদেরও জরিমানা করা হয়। অবৈধ দখল ইচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানর সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ মিলনও উপস্থিত ছিলেন।
বিইউ/জেবি