রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভুয়া টিভি মালিক গ্রেপ্তার, চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ভুয়া টিভি মালিক গ্রেপ্তার, চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ

চট্টগ্রামের চিহ্নিত পলাতক আসামি আলী আজগার মানিক নামে এক ভুয়া টিভি চ্যানেল মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানিক তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব-৪ জানায়, চট্টগ্রামে উত্থান হওয়া স্বাক্ষরজ্ঞানহীন এই প্রতারক তিনটি টিভি চ্যানেল ও একটি পত্রিকার মালিক সেজে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তার ভুয়া টিভি চ্যানেলগুলোর নাম— সিটিজি ক্রাইম টিভি, সিটিজি টিভি ও বার্তা টিভি। এছাড়াও আই বার্তা নামে অনুমোদনহীন একটি দৈনিক পত্রিকারও সম্পাদক তিনি। উদ্দেশ্য—তিন থেকে পাঁচহাজার টাকা করে সাংবাদিক কার্ড বিক্রি করা। আর সাংবাদিক বানানোর নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। 


বিজ্ঞাপন


র‌্যাব আরও জানায়, মানিক নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, প্রতারণা, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১০ টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী। চট্টগ্রামে টিকতে না পেরে ২ বছর ধরে পালিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন। পলাতক অবস্থায়ই তিনি এসব নতুন ধান্ধা শুরু করেন।

মানিকের অপরাধের কৌশল:
আলী আজগর মানিক টিভি চ্যানেল ও ভুয়া পত্রিকার জন্য সাংবাদিক নিয়োগের কথা বলে প্রথমে বিজ্ঞাপন দেন। এতে বেকার যুবকরা তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে। তখন মানিক তাদের জানায় যে, সাংবাদিক হতে হলে প্রথমে তাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৪/৫ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। কখনো তিনি কারো সঙ্গে দেখা করতেন না এবং তার অফিস ও বাসার ঠিকানাও কাউকে দিতেন না। সাংবাদিক হওয়ার আশায় যারা তাকে মোবাইল ব্যাংকিং করত, তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতেন মানিক। অভিযোগ রয়েছে— চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে ব্যবসায়ী ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপানোর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করতেন। এভাবে অনুমানিক চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি।

নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক: 
মানিকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সাংবাদিক বানানোর কথা বলে বিভিন্ন নারীর সঙ্গেও অবৈধ সম্পর্ক গড়েন মানিক। একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মেয়েদেরকে কুপ্রস্তাব দেওয়াই তার স্বভাব। তার কুপ্রস্তাবে কেউ রাজি না হলে তাদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর কথা লিখতেন। একইসঙ্গে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখাতেন। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। 

এমআইকে/এমএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর