শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মাহি-রাকিব দম্পতির বিরুদ্ধে দুই মামলার এজাহারে কী আছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

মাহি-রাকিব দম্পতির বিরুদ্ধে দুই মামলার এজাহারে কী আছে

ফের আলোচনায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। স্বামী রাকিব সরকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে পুলিশকে জড়িয়ে ফেসবুকে লাইভ করার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় নায়িকা মাহি গ্রেফতার হয়েছেন। তবে দেশে না ফেরায় তার স্বামী নিরাপদে আছেন।

শনিবার (১৮মার্চ) ওমরা পালন শেষে দেশে ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাহি গ্রেফতার হওয়ার পরপরই দ্রুত চারিদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে যায় মাহির গ্রেফতারের খবর। আলোচিত এই নায়িকা হঠাৎ কেন গ্রেফতার হলেন তা নিয়ে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই।


বিজ্ঞাপন


অবশ্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে মাহির গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার গাজীপুরের বাসন থানায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকারের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং অন্যটিতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। সেই মামলায় শুধু মাহি-রাকিব দম্পতির নাম রয়েছে।

দুই মামলার এজাহারে যা আছে


বিজ্ঞাপন


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা এজাহারে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে মাহিয়া মাহি ও রাকিব সরকার ফেসবুকের মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য অভিযুক্তরা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেলোয়ার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ উত্তর, অফিসার ইনচার্জ বাসন থানাসহ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের অপমান ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, আক্রমণাত্মক, কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করে। যেখানে এক নম্বর আসামি রাকিব সরকার এবং দুই নম্বর আসামি মাহিয়া মাহি সরকার এই কাজ করেছেন। মামলাটি করেছেন বাসন থানার এসআই মোহাম্মদ রোকন মিয়া।

আর মো. ইসমাইল হোসেনের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গাজীপুর বাসন থানার দিঘিরচালার ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে তার (ইসমাইল) রড বাইন্ডিং কারখানা রয়েছে। দীর্ঘদিন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে শুক্রবার সৌদি আরবে থাকা রাকিব সরকার ও মাহিয়া মাহির নির্দেশে প্রায় অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এতে তিন লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমি আহত হয়েছি। মামলায় ইসমাইল ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করেছেন। সেখানে ২৫ নম্বর আসামি রাকিব সরকার এবং ২৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাহিয়া মাহিকে।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও নায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকার গাজীপুরে যুবলীগের রাজনীতি করেন। তিনি একজন ব্যবসায়ীও।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর