মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘লাকড়ি কিনার ট্যাকা নাই, ভুষি টোকাইয়া আনছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৩, ০১:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

‘লাকড়ি কিনার ট্যাকা নাই, ভুষি টোকাইয়া আনছি’
ছবি: ঢাকা মেইল

রাজধানীর পশ্চিমে তুরাগ নদ। যার পাড় ঘেঁষেই গত দুই যুগে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার বসতি। তিতাস অধিভুক্ত এলাকার বাইরে হওয়ায় গ্যাসের কোনো সংযোগ নেই এখানে। তাই আর্থিক দৈন্যতায় এখানে থাকা সবার একমাত্র ভরসা মাটির চুলা।

এই চুলায় রান্না করতে ব্যবহার হয় কাঠ কিংবা বাঁশ। তবে ভুষি দিয়েও রান্না করা যায়। তাতে আগুন হয় কম, বেশি হয় ধোঁয়া। সেই সঙ্গে রাঁধুনিকেও পোহাতে হয় অসহ্য যন্ত্রণা। তবে বাধ্য হয়েই এই যন্ত্রণা সহ্য করে রান্না করতে দেখা গেল সালেহা খাতুনকে।


বিজ্ঞাপন


সিলিন্ডার কেনার মুরদ নেই সালেহার। লাড়কিতেই ভরসা। তবে বর্তমান বাজারে এক কেজি শুকনো লাড়কির দাম পড়ে ১০ থেকে ১৩ টাকা। আর ভেজা লাড়কি মণপ্রতি বিক্রি হয় ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

চারজনের পরিবারের জন্য সালেহার প্রতিদিন দুইবেলা রান্না করতে লাড়কির প্রয়োজন হয় দুই মণ। তাই লাড়কির খরচ বাঁচাতে সকালের নাস্তাই বানান না তিনি।

তুরাগ তীরের এই বাসিন্দা বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর অনেক দাম। এই মাসে লাড়কিও কিনতে পারি নাই। স’মিল, কাঠের কারখানা থিক্কা ভুষি টোকাইয়া আনছি। ওই দিয়া রান্ধি।’


বিজ্ঞাপন


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতায় পাগলা ঘোড়ায় চড়ে ঊর্ধ্বমুখে ছুটছে দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। যুদ্ধের প্রভাবে ব্যাঘাত ঘটছে আমদানি-সরবরাহেও। এই অবস্থায় দেশেও প্রতিনিয়তই বাড়ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। ফলে সালেহা খাতুনের মতো নিম্নবিত্ত অনেকেই কাটছাঁট করছেন খরচের হিসাব, কমিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় ব্যয়।

কারই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর