ঢাকার মতো মেগাসিটির জনসংখ্যা এবং এর জন্য নাগরিক সুবিধা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে শহরে নাগরিকদের দুর্ভোগ কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস কিংবা পানি- যে কোনো ইউটিলিটি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। সেই তুলনায় জনসংখ্যা অতিরিক্ত হলে সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে এবং সেবা প্রদান বিঘ্নিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড, ২০০২১-২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে ওয়াসার রাজস্ব আরোহণ ৪০০ কোটি থেকে বর্তমানে তা ২ হাজার কোটি টাকায় উন্নত হয়েছে। এর কারণ এখন সকল মানুষ পানি পায়।
বাংলাদেশকে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে বর্তমানে পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে সরকার।
দেশে সম্পদের বৈষম্য কম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উন্নত অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের সম্পদের বৈষম্য কম। এখন বাংলাদেশের গ্রামের অর্থনীতিও অনেক শক্তিশালী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে ঢাকায় বায়ুদূষণ ও যানজট থেকে শুরু করে নানা প্রকারের দূষণ হচ্ছে। এতে ঢাকা শহরের মানুষের কর্মস্পৃহা এবং কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, একে দূষণমুক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ও ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অ্যান্ড সিইও ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খান।
ডিএইচডি/আইএইচ
