শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘ঢাকায় কোথায় কত মানুষ থাকবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০১:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ঢাকায় কোথায় কত মানুষ থাকবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে’

ঢাকায় কোথায় কত মানুষ থাকবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, উন্নত শহরের মতো ঢাকায়ও মানুষ কাজে আসবে, কাজ শেষে চলে যাবে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসা ‘বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 


বিজ্ঞাপন


তাজুল ইসলাম বলেন, বিদেশের মতো আমাদেরও চিন্তা করতে হবে। তাই ঢাকায় আসা যাওয়া থাকলেও ঢাকার বাইরে থাকতে হবে। এই সিদ্ধান্তে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকায় কোথায় কত মানুষ থাকবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নত শহরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কাউকে জোর করে ঢাকা থেকে বের করা যাবে না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের কানেকটিভিটি ইমপ্রুভ করতে হয়েছে। আমাদের এই শহরে কত মানুষ থাকবে তা আমাদের ডিজাইন করতে হবে। মানুষ আগে ঢাকায় থাকতো না। তবে এখন থাকে। ঢাকায় সবাই থাকবে না। লোক ঢাকায় আসবে আবার বাইরে চলে যাবে। আমাদেরও এমন কাজ চলছে।

তিনি বলেন, আমরা সবাই চাই ঢাকায় সবাই থাকবে। ড্যাবের দায়িত্ব মানুষের থাকার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। দেশের সব মানুষকে ঢাকায় রাখতে পারবো না। ২০ মিলিয়ন মানুষ ঢাকায় থাকে। সবাই ঢাকায় থাকতে পারবে না। শহরের বাইরে থাকবে। ঢাকায় এসে কাজ শেষে ঢাকাত বাইরে যাবে।


বিজ্ঞাপন


উন্নত জীবনযাপনে জন্য লোকজন দেশের বিভিন্ন জেকা থেকে ঢাকায় আসে জানিয়ে তিনি বলেন, এই শহরে কত লোক বসবাস করবে আমাদের সেই ডিজাইনটা করতে হবে। এখন সবাই ঢাকা শহরে এফোর্ড করতে পারে। একটা সময় ঢাকায় কাজ পাওয়া যাবে। এই চিন্তা ছিল। এখন সবাই ঢাকায় আসে ভালো জীবনযাপনের জন্য।

মন্ত্রী বলেন, শুধু পানি দিলে আপনাকে হবে না। আপনি যখন টোকিও বা বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনা করবেন, ঢাকাকেও আপনার ফোকাস করতে হবে। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। সাধারণভাবে মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে বসবাসের বিষয়টাও আসবে।

তিনি বলেন, এক সময় চেঙ্গিস খানরা সারা পৃথিবী দখল করেছে। এখন আর কেউ দখল করে না। এখন ১৭ কোটি মানুষের জন্য ছোট একটা জায়গা। স্বাধীনতার সময় জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। তখন অর্ধেক মানুষও খাবার পেত না। এখন শতভাগ মানুষ খাবার পায়। এর জন্য আমাদের নানা খাতে উন্নয়ন করতে হয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার পানির দাম এলাকাভিত্তিক নির্ধারণ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমি ওয়াসাকে বলেছি, জোন অনুযায়ী পানির দাম হবে। একেক এলাকায় একেক ধরনের দাম হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর ধরে এলাকাভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণের কথা ভাবছে ঢাকা ওয়াসা। যদিও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। সবশেষ ২০২২ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা ওয়াসা ও ওয়াটার এইড বাংলাদেশ যৌথভাবে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সে প্রতিবেদনে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র গ্রাহকের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছিল। 

কারই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর