২০ থেকে ২৫ মণ বা আরও বেশি ওজনের একেকটি ষাঁড় গরু। দূর থেকে দেখতে মনে হবে যেন হাতি। কোনোটি শংকর জাতের, কোনোটি ব্রাহমা বা হলিস্টিন। পাশাপাশি মহিষ, ঘোড়া, বিভিন্ন পাখি, পোষা প্রাণীও আছে। এক ছাদের নিচে সবকিছু দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরাও। তবে ষাঁড় গরুর স্টলে ভিড় বেশি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলার মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলছে দুই দিনের প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় এই প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রদর্শরীর শেষ দিন। এবারের প্রতিপাদ্য স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ।

প্রদর্শনী মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনা নানা উন্নত জাতের গরু, মহিষ, গয়াল, ঘোড়া, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, খরগোশ, কুকুর, বিড়াল, হাঁস-মুরগি, কবুতর ও পাখিসহ বাহারি রকমের গৃহপালিত প্রাণী প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনীতে সর্বমোট ৩০০টি স্টল রয়েছে।
কোরবানি ছাড়া একসাথে বড় বড় গরু সাধারণত রাজধানীবাসী দেখে না। গাবতলীতে নিয়মিত গরুর হাট বসলেও পরিবার নিয়ে কেউ সেখানে যেতে চায় না। আগত দর্শনার্থী খালিদ ভূইয়া বলেন, বাচ্চা এবং স্ত্রীসহ এসেছি। বড় বড় গরু দেখে বাচ্চারা এত খুশি, ভাষায় বোঝানো যাবে না। আমরা কোরবানি এলে বিভিন্ন হাটে নিয়ে যাই, আর সারা বছর নিতে পারিনা। এখানে সুন্দর পরিবেশে দেখালাম, ভালো লাগল।
বিজ্ঞাপন
প্রদর্শনী ঘুরে দেখা গেছে, অনেক দর্শনার্থী ভিড় করেছেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় পাখি ও ষাড় দেখতে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীরা আসছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে। উৎসুক দর্শনার্থীদের কেউ দেখছেন হাতির মতো দেখতে বিশালাকার গরুর শরীরে আদরে হাত বুলাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম থেকে শাহীওয়াল জাতের ষাঁড় নিয়ে আসা একটি স্টলের দায়িত্বে থাকা শাহেদ বলেন, আমাদের এখানে ৯০০ কেজি ওজনের ষাঁড় রয়েছে। দাম চাচ্ছি ৩০ লাখ টাকা। বিক্রি উদ্দেশ্য নয়, কেউ কিনলে আমাদের খামারে যোগাযোগ করবে।

প্রদর্শনীতে কুকুর-বিড়ালকে জড়িয়ে অনেককে ছবি উঠাতেও দেখা যায়। ষাঁড় গরুর ৭০টি স্টল প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে হলিস্টিন, শংকর, মিরকাদিম, শাহীওয়াল, ব্রাহমা জাতের কয়েক মণ ওজনের ষাঁড় রয়েছে। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন শিক্ষার্খীরা দল বেঁধে প্রদর্শনী দেখতে এসেছেন।
শিক্ষার্থী আসাদুল বলেন, আমরা সাতজন দেখতে এসেছি। অনেক পাখি প্রাণী একসাথে দেখলাম। এত ভ্যারাইটিস একত্রে পাওয়ায সত্যি আমরা মুগ্ধ।
পাখির স্টলে দেখা যায়, ক্যাংগাম চিতা, ইয়াকুত লাখা, মেন্দিয়া লাখা, হিরা লোরীসহ হরেক নাম, রং ও আকৃতির পাখি। পাখিভেদে বিভিন্ন দাম হাঁকছেন স্টলের দায়িত্বরতরা।
ডব্লিউএইচ/জেবি

