সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ: ফোনের সূত্র ধরে অপরাধী গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ: ফোনের সূত্র ধরে অপরাধী গ্রেফতার

দুই বছর আগে পুলিশ পরিচয়ে নবাবগঞ্জের বাগমারা এলাকা থেকে কামাল হোসেন নামে এক দোকানীকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় চার ব্যক্তি। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে গাজীপুরে একটি নির্জন স্থানে ফেলে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এসময় তার সঙ্গে থাকা দেড় লাখ টাকা এবং দেড় লাখ টাকার বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী একটি মামলা করলে থানা পুলিশ এর কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি। অবশেষে সেই মামলা গড়ায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে। পিবিআইয়ের কাছে আসার পর সেই ঘটনার নেপথ্যের ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় রিয়াদুল ইসলাম ওরফে লায়েক (৩৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

রিয়াদুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর জানা গেছে, সেদিনের অপহরণকারীরা পুলিশ সদস্য ছিল না। তারা ছিল পেশাদার অপহরণকারী ও ছিনতাইকারী। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির সাথে আরও কয়েকজন রয়েছে বলে জানতে পেরেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। লায়েক মাগুরা সদরের পাইকেল গ্রামের মৃত এরফান মোল্লার ছেলে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মাগুরা জেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।


বিজ্ঞাপন


পিবিআই জানিয়েছে, এই ঘটনায় লায়েককে গ্রেফতারের পর তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে তোলা হয়। লায়েক এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ আরও তথ্য দিয়েছে।

এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ঢাকা জেলার এসআই বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, মূলত দুই বছর আগে কামাল হোসেনকে অপহরণের পর তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার পর হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়েছিল। পরে তার সঙ্গে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা ছাড়াও আরও দেড় লাখ টাকার জিনিসপত্র এবং সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছিল অপহরণকারীরা। কামালকে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে গভীর রাতে গাজীপুরের গার্লস ক্লাবের সামনে ফেলে দিয়ে যায়। এ সময় তারা তাকে সাড়ে ৩০০ শত টাকা দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ ঘটনার পর মামলা হলে থানা পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি। 

তিনি আরও জানান, মামলাটির তদন্ত ভার আসার পর কামালের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ব্যবহারকারীকে খুঁজে বের করা হয়। সেই ব্যবহারকারী যে দোকান থেকে ফোনটি কিনেছিল তার তথ্য দেন। এরপর পর্যায়ক্রমে লায়েককে খুঁজে বের করা হয়। তাকে গ্রেফতারের সময় কামালের মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়। মূলত এ ঘটনায় চারজন জড়িত। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসআই বিশ্বজিৎ বিশ্বাস আরও বলেন, লায়েকের নামে এর আগে আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে। এর আগে তিনি একটি হত্যা মামলায় তিন বছর জেল খেটেছেন। সেই মামলায় কারাগারে গিয়ে চারজনের একজনের সাথে তার পরিচয় ঘটে। লায়েক মূলত তেমন কিছু করতেন না। প্রতিবার জেল থেকে বের হয়ে একই কাজ করতেন তিনি ও তার দলের সঙ্গীরা।


বিজ্ঞাপন


তাদের চারজনের একজন মাইক্রোবাস চালাতেন বাকি তিনজন এই অপহরণ এবং ছিনতাইয়ের কাজ চালাতেন। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এমআইকে/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর