দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি সাবেক জেলা দায়রা জজ।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনে যান। এরপর রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিনের নাম জমা দেন।
বিজ্ঞাপন
কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনে কমিশনে যান জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
নাম জমার পর ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলন করে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম জমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তখন সাহাবুদ্দিনও কাদেরের পাশে ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবউদ্দিন চপ্পুকে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি সংসদীয় দলের নেতা আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া দায়িত্বভার অনুযায়ী তিনি এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন। আমরা তার মনোনয়ন জমা দিয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সাহাবুদ্দিনই যে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন তা অনেকটাই পরিষ্কার।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কার্যালয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।’
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন।
কারই/একে/এমআর

