খাদ্য নিয়ে কোনোভাবেই রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘অবৈধ মজুদদারী রোধে করণীয় ও বাজার তদারকি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করার পর আবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন করে যুদ্ধে নামতে হবে, এটা আমার জানা ছিল না। কুষ্টিয়ায় রশিদ সাহেবসহ চার থেকে পাঁচজন বাংলাদেশের চাউলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। আমি তাদের বলব, আজকেই আপনারা বসেন। আগামীকাল থেকে চালের বাজার বৃদ্ধি তো দূরের কথা, যদি না কমে, আমরা যত ভালো ভালো কথাই বলি না কেন, আমাদের প্রশাসন কিন্তু তত ভালো থাকবে না। কোনোক্রমেই খাদ্য নিয়ে রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না।
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ধান ক্রাসিং করে চাল রেখে দেওয়া গর্হিত অপরাধ, অমার্জনীয় অপরাধ। আমাদের মাঠপর্যায়ে কে কি করছে, সেটায় আমরা কঠোর নজরদারি রাখছি। মন্ত্রী, সচিব ও ডিজি- আমরা ইউনাইটেডলি সততার সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে দুর্নীতি মুক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছি। মাঠপর্যায়ে যারা আছে, তারা যেন সাবধান হয়ে যায়। সাবধানতা ফসকে যদি কিছু হয়, তাহলে তার নিজের দায় নিজেকেই গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠিত সভায় আগামীকাল সোমবার (২১ মার্চ) থেকে কেজিপ্রতি মিনিকেট চালের দাম দুই টাকা কমানোর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ।
এ দিন সভায় অংশ নেওয়ার আগে মন্ত্রী বাংলাদেশের বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগরের বেশ কয়েকটি মিল পরিদর্শন করেন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ রাজনৈতিক ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার প্রশাসকগণ এতে অংশ নেন।
/আইএইচ

