শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ক্রেতা সংকটে বাদামতলী-ওয়াইজঘাটের ফল ব্যবসায়ীরা

এসএম শাহাদাত হোসেন অনু
প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:১২ এএম

শেয়ার করুন:

ক্রেতা সংকটে বাদামতলী-ওয়াইজঘাটের ফল ব্যবসায়ীরা

দেশি-বিদেশি ফলের জন্য যুগ যুগ ধরে বিখ্যাত পুরান ঢাকার বাদামতলী ও ওয়াইজঘাট ফলের আড়ত। রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষের ফলের চাহিদার বেশিরভাগ জোগান দিয়ে থাকেন এখানকার আড়তদাররা।

সবচেয়ে বড় পাইকারি এই ফলের আড়তে দেশি-বিদেশি নানা ফলের সমাহার থাকলেও শীত মৌসুমে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের কমলা, আপেল, বরই-এর রাজত্বই চলে।


বিজ্ঞাপন


কিন্তু কিছুদিন ধরে ক্রেতা সঙ্কটে বিপাকে পড়েছে বাদামতলী ও ওয়াইজঘাটের ফল ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভালো ব্যবসা দূরের কথা, দৈনন্দিন খরচের টাকা উঠানোই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষ করে চীনের আপেল, কমলা এবং ইরাক, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফল আমদানি করে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৌসুমি ফল এনে থাকেন এখানকার আড়তদাররা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়াইজঘাট থেকে বাদামতলী ঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রয়েছে হরেক রকমের পাইকারি ফলের আড়ত ও খুচরা ফলের দোকান। বাদামতলী ও ওয়াইজঘাট এলাকার বিভিন্ন ভবনে ৪০০-৫০০টি ফলের আড়ত রয়েছে।

১৩ বছর ধরে ওয়াইজঘাট এলাকায় ফলের ব্যবসা করছেন সফি উল্লাহ নামে এক দোকানি। তিনি জানান, আগে প্রতিদিন ৪৫-৫০ কেজি মৌসুমি বরই বিক্রি করতেন। কিন্ত আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৩ কেজি বিক্রি করেছেন। সংসারের খরচ মেটানো ও দৈনন্দিন নিজস্ব খরচ কোনোভাবেই ব্যবসা করে মেটাতে পারছেন না। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা একবারে কম। এক সপ্তাহ আগে বরই ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন, এখন ৫০ টাকা ধরে কেজিতে কেউ নিতে আসছে না।


বিজ্ঞাপন


কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষজন সংসারের খরচ মেটানোর পর ফল কিনতে আসে। এখন খরচই মেটাতে পারে না, ফল কিভাবে কিনতে আসবে।

রাসেল সরকার নামে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, শরিয়তপুর থেকে ছোটবেলায় এসেছি এখানে। এখন ব্যবসার যা অবস্থা, এ রকম আগে কখনও দেখিনি। লোকজন ফল কিনতে আসে না। দাম কম বললেও কিনতে আগ্রহ দেখায় না। অল্প পরিমাণে কিনে চলে যায়। যার ফলে দৈনিক পারিবারিক খরচ সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছি।

জানা যায়, সাধারণত দিনে ২-৩ কোটি টাকার ফল বাণিজ্য হয় এই আড়ত থেকে, যা গত এক সপ্তাহে অর্ধেকে নেমে এসেছে।

লাকি এজেন্সির স্বত্বাধিকারী জাহিদ হোসেন বলেন, শীতকাল হওয়ায় ফলের দাম কিছুটা কম। দেশি ফলের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তবে বাজারে ফল ক্রেতার সংখ্যা তেমন নয়।

রয়েল ফল বিতানের মালিক তপন চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগেও আমাদের ব্যবসা ভালো ছিল। দিনদিন দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে লোকজন এখন আর ফলের দিকে নজর দেয় না। যার ফল ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে।

প্রতিনিধি/জেএম/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর