নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে দ্বিতীয়দিনের মতো বৈঠকে বসছে সার্চ কমিটি। আজ (মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে চারটায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকটি শুরু হবে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম বৈঠকে বসেছিল সার্চ কমিটি। সেদিনের বৈঠকে নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, বিশিষ্টজনদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করবে সার্চ কমিটি। আগামী শনিবার (২টি) ও রোববার (১টি) মোট তিনটি বৈঠক করবে কমিটি।
২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব কার্যক্রম সম্পন্নের আশাবাদ ব্যক্ত করে খন্দকার আনোয়ারুল বলেছিলেন, আগামী মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গত শনিবার সকালে ইসি গঠনের জন্য সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপনে ইসি গঠনের জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে গঠিক সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
গঠিত এই সার্চ কমিটি নতুন ইসি গঠনের জন্য কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবে। সেই নাম থেকে ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আর সেই ইসির পরিচালনায় পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে।
সদ্য পাস হওয়া আইন অনুযায়ী, ইসি গঠনে নামের সুপারিশ চূড়ান্তের জন্য সার্চ কমিটির জন্য সময় ১৫ দিন। কিন্তু কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হতে যাচ্ছে। ফলে সেই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি যদি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চান, তাহলে হাতে সময় আছে নয় দিনের মতো।
নানা আলোচনা ও বিতর্কের মুখে গত ২৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। দুই দিন পর ২৯ জানুয়ারি বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ৩০ জানুয়ারি তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
এমআর
