শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর, ৪০ মিনিটে পূর্বাচল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর, ৪০ মিনিটে পূর্বাচল

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের যাতায়াত ব্যবস্থায় যোগ হচ্ছে নতুন নতুন বাহন। বিজয়ের মাসে গত ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করেছে মেট্রোরেল। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে যানজটে বসে থাকার কষ্ট লাঘব হবে যাত্রীদের। উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আসতে মেট্রোরেলে সময় লাগছে মাত্র ১০ মিনিট। চলতি বছরের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর কথা বলছে সরকার।

এবার পাতালরেলের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিমানবন্দর-কমলাপুর এবং পূর্বাচল-নতুন বাজার-রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ রুটের মধ্যে ৩১.২৪১ কিলোমিটার বিশিষ্ট পাতাল ও উড়াল এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন


পাতাল রেলের এমআরটি লাইন-১ চালু হলে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। থাকবে না যানজটে বসে থাকার কষ্ট।

তথ্য অনুযায়ী, যাত্রীদের এমআরটি লাইন-১-এ ১২টি ভূগর্ভস্থ স্টেশনে বিরতিসহ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ভ্রমণ করতে লাগবে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড এবং সাতটি বিরতিসহ নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলে যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। যাত্রীরা নতুন বাজার ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে ১৬টি স্টেশনে বিরতিসহ মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে কমলাপুর থেকে পূর্বাচলে যেতে পারবেন।
 
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকায় এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের বিবরণে বলা হয়েছে, এমআরটি লাইন ১-এর প্রথম অংশ হলো: বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর-কমলাপুর), যাতে ১২টি স্টেশনসহ ১৯.৮৭২ কিলোমিটার বিশিষ্ট পাতাল রেল হবে। আর দ্বিতীয় অংশ হলো- পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো), যাতে ৯টি স্টেশনসহ ১১.৩৬৯ কিলোমিটার বিশিষ্ট উড়াল হবে। এই স্টেশনগুলোর মধ্যে সাতটি স্টেশন উড়ালে হবে এবং বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুন বাজার ও নর্দ্দা স্টেশন পাতাল অংশে থাকবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, নতুন বাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) দিয়ে একটি ইন্টারচেঞ্জ সুবিধা থাকবে, যেখান থেকে যাত্রীদের জন্য পূর্বাচল থেকে বিমানবন্দর রুটে অথবা পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দরে যেতে পারবেন।

পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করার পর সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক অর্জিত হলো। এর আগে মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি। মানুষ সেটি ওপর দিয়ে যাবে। এবার মাটির নিচ দিয়ে যাবে পাতাল রেল। বাংলাদেশে এ ধরনের আয়োজন প্রথম।


বিজ্ঞাপন


বিইউ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর