রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ই-সিগারেট নিষিদ্ধের উদ্যোগ প্রশংসনীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:২১ এএম

শেয়ার করুন:

ই-সিগারেট নিষিদ্ধের উদ্যোগ প্রশংসনীয়

আগামীর প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করতে তামাক কোম্পানির নতুন কৌশল হলো ই-সিগারেট। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে— ই-সিগারেট বা ভেপিং বেশি ক্ষতিকর। সরকার ই-সিগারেট নিষিদ্ধের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদশে তামাকবিরোধী জোট (বাটা)।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। 


বিজ্ঞাপন


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে তামাকের মতো ক্ষতিকর দ্রব্য হতে জনগণকে বিরত রাখা জরুরি।  

বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোলের সঞ্চালনায় ওই আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক (বাংলাদেশ) অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। 

যেখানে বলা হয়, তামাক কোম্পানিগুলো সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেটে আসক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন মিথ্যাচার করছে। দীর্ঘমেয়াদী ভোক্তা তৈরির লক্ষ্যে তাদের মূল টার্গেট তরুণ প্রজন্ম। সম্প্রতি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ সংশোধনের খসড়ায় ই-সিগারেটের উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করা হয়েছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের পূর্বে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে এখনই ই-সিগারেট, ভেপিংয়ের মতো পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে। 

আরও বলা হয়, ই-সিগারেটের ব্যবহার খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সত্যিই ভয়াবহ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পাশাপাশি অন্য কোন কোন উপায়ে এই পণ্য নিষিদ্ধ করা যায় এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। ই-সিগারেট তামাক কোম্পানির ব্যবসা প্রসারের একটি নতুন কৌশল। এতে নিকোটিনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য লিকুইড ব্যবহার করা হয়। পরিশেষে তিনি স্বাস্থ্যহানিকর পণ্যগুলো নিয়ন্ত্রণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।


বিজ্ঞাপন


ডিএইচডি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর